'দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দ ফিরবে', কসবা কলেজ নিয়ে মন্তব্য ব্রাত্যর
প্রতিদিন | ০২ জুলাই ২০২৫
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কসবার আইন কলেজের ভিতর গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তুঙ্গে চাপানউতোর। আপাতত কলেজে বন্ধ পঠনপাঠন। খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে কলেজ, আশা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। তিনি আরও বলেন, “পঠনপাঠন প্রক্রিয়া চালু থাকার কথা। পরিচালন সমিতি কী ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাকে খোঁজ নিতে হবে। আশা করছি ছাত্রছাত্রীরা দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসবে।”
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুন, শুক্রবার সকাল থেকে কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। নির্যাতিতা দাবি করেন, বুধবার সন্ধ্যায় তাঁকে ডাকা হয়েছিল কলেজে। অভিযোগ, তিনি সেখানে গেলে তাঁর উপর চড়াও হন তিনজন। গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কাউকে কিছু না বলতে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে ওই ছাত্রী কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, প্রথমে বিশেষ তদন্তকারী দল বা ‘সিট’-এর পাঁচজন সদস্য কাজ শুরু করেন। এদিন ‘সিট’-এর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন ন’জন ‘সিট’ সদস্য তদন্ত করছেন। নির্যাতিতা ছাত্রী ও তিন অভিযুক্তর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বুধবার রাতে কলেজে ছাত্রীর গণধর্ষণের যে ভিডিওগুলি তোলা হয়, সেগুলি একটি সোশাল মিডিয়ার বিশেষ গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছিল বলে খবর আসে পুলিশের কাছে। পুলিশ সেই তথ্য যাচাই করছে। ওই গ্রুপে রয়েছে মনোজিৎ, জায়েব, প্রমিত ও মনোজিতের খুব ঘনিষ্ঠ কয়েকজন। ওই গ্রুপের কেউ বাইরে ভিডিওগুলি ছড়িয়েছে কি না, সেই তথ্য পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। তথ্য যাচাইয়ের জন্য গ্রুপের অন্য সদস্যদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে। পরীক্ষা করা হতে পারে তাঁদের মোবাইলও। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের কলেজে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ হয়। ইউনিয়ন রুম, গার্ড রুম-সহ কোথায় কী ঘটনা ঘটেছিল, তার বিবরণ দিয়েছে অভিযুক্তরা। চলছে তদন্ত। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। গোটা পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য আইন কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গর্ভনিং বডির সদস্যরা।