• অভিযোগকারী তরুণী মনোবিদ, সোশ্যাল মিডিয়ায় IIM পড়ুয়ার সঙ্গে পরিচয়, আদালতে উঠে এল আর যে সকল তথ্য...
    এই সময় | ১২ জুলাই ২০২৫
  • দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান IIM কলকাতায় বহিরাগত তরুণীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ধৃত কর্নাটকের যুবক পরমানন্দ তোপ্পাঁওয়াকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। ম্যানেজমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের হস্টেলে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। শনিবার তাঁকে আলিপুর আদালতে হাজির করায় পুলিশ। আদালতে সওয়াল জবাব পর্বে উঠে এসেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

    আদালতে অভিযুক্তের আইনজীবী শুভজিৎ মুখোপাধ্যায় সওয়াল করেন, অভিযোগকারী তরুণী মনোবিদ, সাইকোলজিক্যাল কাউন্সিলার। পরমানন্দের সঙ্গে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়। তার পরে কথাবার্তা শুরু হয়। অভিযোগকারী শুক্রবার সকালে জোকায় IIM কলকাতার ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন।

    অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেন, অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই তরুণীর খাবার খাওয়ার পরে বমি ভাব আসে। ওয়াশরুমে যেতে চাইলে, দেওয়া হয়নি। প্রথমে জোর করে শারীরিক হেনস্থা এবং পরে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে গেলে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। টাইমলাইনে বলা আছে, ওই তরুণী সকাল ১১টা ৪৫ থেকে রাত ৮টা ৩৫ পর্যন্ত সেখানে ছিলেন। আবার পুলিশ বলছে, রাত ৮টা ৩৫-এ হরিদেবপুর থানা খবর পেয়েছে। তা কী ভাবে সম্ভব?

    একই সঙ্গে অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতকে জানান, ঘটনাস্থল হিসেবে লেক ভিউ হস্টেলের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে পৌঁছতে গেলে একাধিক নিরাপত্তারক্ষীর মুখোমুখি হওয়ার কথা। এমনকী, হস্টেলে ঢোকার ক্ষেত্রেও অনুমতি নিতে হয়। অভিযোগে, বলা হচ্ছে, তরুণীকে কোনও অনুমতি নিতে দেওয়া হয়নি। একজন সেকেন্ড ইয়ারের পড়ুয়া কী ভাবে নিরাপত্তা নিজের মুঠোয় নেবেন?

    পাল্টা সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষাল সওয়াল করেন, ‘অভিযুক্ত প্রভাব খাটিয়ে নিরাপত্তারক্ষীকে প্রভাবিত করে তরুণীকে ভিতরে নিয়ে গিয়েছেন। প্লেস অফ অকারেন্স বা ঘটনাস্থলে মোবাইল ফোন ছিল। আমরা আশঙ্কা করছি, ঘটনার ভিডিয়ো করা হয়ে থাকতে পারে। কারণ, যে অবস্থায় তরুণী ছিলেন, তাতে আমাদের আশঙ্কা থাকছে। আমরা ফরেন্সিক ল্যাবে মোবাইল ফোন পাঠিয়ে সমস্ত ডেটা সংগ্রহ করব। এত বড় রুম, সেই রুমের কোথায় এই ঘটনা ঘটেছে তা জানা দরকার। তাই অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে রেখে জেরার প্রয়োজন।’

    অভিযুক্তের অন্য আইনজীবী সুব্রত সর্দার পরে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘পুলিশ আদালতে যে নথি পাঠিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, সময়কাল সকাল ১১টা ৪৫ থেকে রাত ৮টা ৩৫ পর্যন্ত। অথচ মেয়েটি যখন অভিযোগ করছেন, তখনও সময় রাত ৮টা ৩৫। একই সময়ে আইআইএম জোকা থেকে তিনি কী ভাবে হরিদেবপুর থানায় পৌঁছে গেলেন, তা খতিয়ে দেখা দরকার।’ পুলিশ ২৫ জুলাই অবধি হেফাজতে চাইলেও আদালত ১৯ তারিখ পর্যন্ত তা মঞ্জুর করে।

  • Link to this news (এই সময়)