• তেহট্ট নাটনা গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বেহাল, ভেঙে পড়ার শঙ্কা
    বর্তমান | ২১ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, তেহট্ট: তেহট্ট-১ ব্লকের নাটনা গ্রামের ৩১১ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশা। ভেঙে পড়ছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ঘরের ছাউনি। তারমধ্যেই চলছে শিশুদের লেখাপড়া। যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। আতঙ্কে রয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও অভিভাবকরা। প্রশাসনের কাছে বহুবার আবেদন জানিয়েও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তেহট্ট থানার নাটনা গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঠপাড়া এলাকায় রয়েছে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। পুরনো একটি বাড়িতে এই কেন্দ্র চলে। টিনের ছাউনি  কার্যত ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে। ছাউনি ভেঙে পড়েছে। দেওয়ালে ফাটল ধরে পলেস্তারা খসে পড়ছে। যে কোনও সময় তা ভেঙে পড়তে পারে। ক্ষতি হতে পারে শিশু থেকে প্রসূতি মায়েদের। এই কেন্দ্র সংস্কার করার জন্য বেশ কয়েকবার স্থানীয় বাসিন্দারা তেহট্ট-১ ব্লকের বিডিও, মহকুমা শাসকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। আবেদন জানালেও আজ পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। 

    এমনকী, এলাকার ক্লাবের ছেলেরা পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েও সুরাহা করতে পারেনি। বাধ্য হয়ে ওই ঘরেই শিশুদের নিয়ে ক্লাস চলছে। খাবার দিচ্ছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়ক। স্থানীয় বাসিন্দা সমীরণ মণ্ডল বলেন, এই কেন্দ্রের ঘরের এমন দশা যে কোনও সময় এটা ভেঙে পড়তে পারে। আর শিশুদের ক্লাস বা খাবার দেওয়ার সময় এটা ভেঙে পড়লে সকলের ক্ষতি হবে। আমরা এই কেন্দ্র সংস্কারের জন্য বারবার প্রশাসনের সব জায়গায় জানিয়েছি। কিন্তু, কিছুই হয়নি। 

    টুকটুকি হালদার বলেন, আমি খুব ভয়ে ভয়ে বাচ্চাকে ওই কেন্দ্রে পাঠাই। শান্তিতে থাকতে পারি না। যতক্ষণ না বাড়ি ফেরে ততক্ষণ ভয় থাকে। ওই ঘরের এমন দশা, যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই বৃষ্টি বা জোরে বাতাস দিলে বাচ্চাকে ওখানে পাঠাই না। দিদিমণি বেশ কয়েকবার ঘরটা সংস্কার করার জন্য আবেদন করেছেন। আমরা শিশু ও প্রসূতিদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি, এই ঘর অবিলম্বে সংস্কার করা হোক।  তেহট্ট-১ বিডিও সঞ্জীব সেন বলেন, কর্মী ও সিডিপিওর মাধ্যমে আমাদের জানালে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)