ভোটার তালিকা থেকে ‘আসল লোকে’র নাম বাদ নয়, ফের মমতার বার্তা, ‘NRC রুখে দেব’
প্রতিদিন | ২৯ জুলাই ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহার ভোটের আগে এসআইআর বা বিশেষ নিবিড় সংশোধনী নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘুরপথে একই পদ্ধতি বাংলায় বিধানসভা ভোটের আগেও লাগু হতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তার বিরোধিতার ডাক দিয়ে ফের গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার সতর্ক করলেন, ভোটার তালিকা থেকে আসল নাগরিকের নাম যেন বাদ না যায়। তাঁর সতর্কবার্তা, ”সকলে ভোটার তালিকায় নাম তুলবেন। যদি নাম বাদ যায়, তাহলে প্রতিবাদ করুন। বিএলও-কে জানান।” আরও বললেন, ”এভাবে এনআরসি চালুর পরিকল্পনা চলছে, তা রুখে দেব।”
মঙ্গলবার বীরভূমের ইলামবাজারে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে জয়দেব সেতু-সহর উদ্বোধন-সহ একাধিক প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়। সরকারি অনুষ্ঠানের মাঝেই ভোটার তালিকা থেকে শুরু করে বাঙালি ‘নির্যাতন’, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ? সব নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ”অসম, ওড়িশা, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ-সহ সমস্ত ডবল ইঞ্জিন সরকার অর্থাৎ বিজেপি শাসিত রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে বাঙালিদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। আসলে বাংলায় প্রতিভা, পরিশ্রমের সঙ্গে পেরে উঠছে না বলে এত অত্যাচার। হিংসার তো কোনও ওষুধ নেই। যাঁরা ওই সব রাজ্যে কাজ করেন, তাঁরা দীর্ঘ ২০, ২৫ বছর ধরে সেখানে কাজ করছেন। সব বৈধ নথি রয়েছে। তা সত্ত্বেও ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে, থানায় ঘোরানো হচ্ছে। আমি বলছি, তাঁরা সবাই ফিরে আসুক। চাইলে রাজ্য সরকার গাড়িভাড়াও দেবে। তারপরই বোঝা যাবে, কে সত্যি বলছে, মিথ্যে বলছে।”
এরপরই মমতার বার্তা, ”সবাই নতুন করে ভোটার তালিকায় নাম তুলবেন। আসল লোকের নাম যেন বাদ না যায়। এভাবে এনআরসি চালুর ষড়যন্ত্র চলছে। অসমেও হয়েছে, বাংলাতেও ওরা চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রাণ থাকতে আমরা এনআরসি হতে দেব না, রুখে দেব। কারও নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ গেলে প্রতিবাদ করবেন, বিএলও-কে বলবেন। বলবেন, এটা আপনার সাংবিধানিক অধিকার, আপনার রক্ষাকবচ। যেসব সংখ্যালঘুরা বাইরে কাজ করেন, তাঁরাও নাম তুলুন।” মঞ্চে উপস্থিত সাংসদ শতাব্দী রায়, অসিত মাল, কোর কমিটির সদস্য অনুব্রত মণ্ডল, কাজল শেখ-সহ দলীয় নেতৃত্বের উদ্দেশে মমতার বার্তা, রাজনৈতিক স্তরে না হলেও নিজের এলাকায় নাগরিকদের নিয়ে, বিশিষ্টদের নিয়ে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে।