তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার এক
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৭ আগস্ট ২০২৫
কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান কুন্তলা রায়ের ছেলে অমর রায় খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। ঘটনার সাত দিনের মাথায় গ্রেপ্তার করা হল পেশাদার শার্প শুটার বিনয় রায়কে (৩৫)। রবিবার সকালে কোচবিহার জেলা পুলিশের তরফে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।
রবিবার ভোরে বাংলা-অসম সীমানা সংলগ্ন বক্সিরহাট এলাকা থেকে বিনয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কোচবিহারের সিদ্ধেশ্বরী এলাকার বাসিন্দা হলেও গত সাত বছর জেলার বাইরে ছিলেন বিনয়। তাঁর বিরুদ্ধে ছিনতাই থেকে পকসো, একাধিক মামলা রয়েছে। পুলিশের খাতায় তিনি একাধিক অপরাধে যুক্ত একজন দাগি আসামি।
গত ৯ আগস্ট, শনিবার বিকেলে পুন্ডিবাড়ি থানার ডোডেয়ার হাট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন অমর রায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, গাড়ি নিয়ে এলাকায় গিয়েছিলেন অমর। সেই সময় বাইকে করে আসা দুই যুবক তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অমরের। তাঁর গাড়ির চালক আলমগীর হোসেন গুরুতর জখম হন। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, অমরকে লক্ষ্য করে চারটি গুলি চালানো হয়েছিল।
এই ঘটনার পর পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন নিহত অমরের মা কুন্তলা রায় ও বাবা মহীনচন্দ্র রায়। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। কুন্তলা রায় বলেছিলেন, ‘দিনেদুপুরে ছেলেকে গুলি করে মারা হল। এখনও পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত হোক।’ অবশেষে একজন অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি প্রশাসনের, যদিও খুনের প্রকৃত কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পুরনো শত্রুতা এবং ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তবে তদন্ত এখনও চলছে।
কোচবিহার পুলিশ লাইনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা বলেন, ‘গত ৯ আগস্ট কোচবিহারের ডোডেয়ার হাটে অমর রায় এবং তাঁর চার বন্ধু মাংস কিনতে গিয়েছিলেন। সেই সময় সেখানে একটি গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে এবং অমরের শরীরে চারটি গুলি লাগে। মৃত্যু হয় তাঁর। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অসম-বাংলা সীমান্ত থেকে বিনয় রায় নামে এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন যুক্ত রয়েছে। পুলিশ তাদের খোঁজ চালাচ্ছে।’