ফের গ্রেপ্তার হলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। মুর্শিদাবাদের আন্দিতে তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিয়োগে অনিয়ম সংক্রান্ত মামলাতেই এবার ইডির স্ক্যানারে এসেছেন এই বিধায়ক। তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলছিল আগেই। সেই মামলায় সিবিআই তাঁকে দেড় বছর আগে গ্রেপ্তার করেছিল। এবার তাঁর নামে ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন’ ও হিসাববহির্ভূত সম্পত্তি-র অভিযোগে নতুন করে চাপে পড়লেন তিনি। আজই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হতে পারে জীবনকৃষ্ণকে।
সোমবার সকালেই মুর্শিদাবাদের বড়ঞা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার আন্দি গ্রামের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে ইডির পাঁচ সদস্যের একটি দল বিধায়কের বাড়িতে প্রবেশ করে। জানা গিয়েছে, বিধায়ক সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন এবং ইডি আধিকারিকেরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। একইসঙ্গে রঘুনাথগঞ্জের পিয়ারাপুরে জীবনকৃষ্ণের শ্বশুরবাড়ি এবং স্ত্রী টগর সাহার বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। সেবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশির সময় দুইটি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দেন তিনি, এমন অভিযোগ ওঠে। পরে পুকুরের জল ছেঁচে সেই মোবাইল উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। দীর্ঘ ১৩ মাস কারাবাসের পর সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পান বিধায়ক। রাজ্য রাজনীতিতে যখন নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে চাপ বাড়ছে শাসক দলের উপর, ঠিক তখনই তৃণমূল বিধায়কের গ্রেপ্তারি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।