• এ কেমন মডেল! ধনী করদাতার সংখ্যার নিরিখে দেশে প্রথম দশেও নেই মোদির গুজরাট, বাংলা ৬ নম্বরে
    প্রতিদিন | ২৮ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাট মডেল! ২০১৪ সালে এই ‘মডেলে’ রাজ্যের স্বপ্ন দেখিয়েই ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। অথচ, সেই মডেল রাজ্যে তথাকথিত ধনী বা উচ্চ মধ্যবিত্তের সংখ্যাটা উল্লেখযোগ্যভাবে কম। অন্তত আয়কর বিভাগের তথ্য সে কথাই বলছে। আয়কর বিভাগের তথ্য বলছে, করদাতার সংখ্যার নিরিখে ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যও গুজরাটের চেয়ে এগিয়ে।

    আয়কর বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, বার্ষিক ২৫ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা আয় ঘোষণাকারীর সংখ্যার নিরিখে গোটা দেশে প্রথম দশেও নেই গুজরাট। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রে ১.৩৭ লক্ষ করদাতার রোজগার ২৫ থেকে ৫০ লক্ষের মধ্যে। দ্বিতীয় স্থানে কর্নাটক। সেখানে ২৫-৫০ লক্ষ টাকা রোজগেরের সংখ্যা ১.৩০ লক্ষ। তৃতীয় স্থানে তামিলনাড়ু। সে রাজ্যে ২৫-৫০ লক্ষ টাকা রোজগেরের সংখ্যা ৪৩.৯ হাজার। এই তালিকায় প্রথম দশেও নেই গুজরাট। দশম স্থানে রয়েছে অন্ধ্র। সে রাজ্যে বার্ষিক ২৫-৫০ লক্ষ টাকা রোজগারের করদাতার সংখ্যা ২৬.৭ হাজার।

    মজার কথা হল শুধু ধনী নয়, সার্বিক করদাতার সংখ্যার নিরিখেও অনেক পিছিয়ে মোদির মডেল রাজ্য গুজরাট। গুজরাটের মোট বাসিন্দার মধ্যে মাত্র ৭ শতাংশের রোজগার ১২ লক্ষের বেশি। ঝাড়খণ্ডের মতো পিছিয়ে থাকা রাজ্যেও ২০ শতাংশ বাসিন্দার রোজগার ১২ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার মধ্যে। বস্তুত সব প্যারামিটারেই বেশ পিছিয়ে গুজরাট। সদ্যই তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকার এই পরিসংখ্যান সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিজেপিকে তোপ দেগেছেন।

    প্রশ্ন হল, তথাকথিত মডেল রাজ্য গুজরাটে ধনীর সংখ্যা এত কম কেন? তাহলে কি সার্বিকভাবেই আর্থিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে গুজরাটবাসীর? নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা? আসলে গুজরাটের বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ ব্যবসায়ী। তাদের অধিকাংশ লেনদেন নগদে। এদের অনেকেই হয়তো আয়কর রিটার্নই ফাইল করেননি। যে কারণে করদাতার সংখ্যার সঙ্গে বাস্তব ছবির ফারাক থাকতে পারে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)