• স্বামীর 'ওতে'ই নজর, আর সহ্য করতে না পেরেই ভরা বাজারে স্ত্রীকে গুলি? পুলিশকে যা জানালেন ব্যক্তি...
    আজকাল | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভরা বাজার। সেখানেই স্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লেন। মুহূর্তে রক্তারক্তি, মৃত্যু, হাহাকার। পুলিশ ইতিমধ্যে ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে। জেরায় ব্যক্তি আরও অবাক করা তথ্য জানিয়েছেন। জানিয়েছেন, স্ত্রীকে খুন করে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই তাঁর। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক এলাকায়।

    ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের ভরা বাজার। জানা গিয়েছে, সেখানেই বিশ্বকর্মা চৌহান নামের এক ব্যক্তি, তাঁর স্ত্রী মমতা চৌহান (বয়স ৩৫)-কে লক্ষ্য করে গুলি চালান। বুধবার সন্ধেয়, গোরক্ষপুরের শাহপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই অভিযুক্ত বিশ্বকর্মাকে গ্রেপ্তার করেছে। সূত্রের খবর, পুলিশি জিজ্ঞাসায় বিশ্বকর্মা স্বীকার করেছেন, তিনি খুন করেছেন। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, তাঁর কোনও প্রকার অনুশোচনা নেই। 

    পুলিশি জেরায় উঠে এসেছে,  বিশ্বকর্মা এবং মমতার দাম্পত্য কলহ দীর্ঘদিনের। ১৩ বছরের মেয়েকে নিয়ে মমতা আলাদা থাকেন বহুদিন ধরেই। তবে সম্প্রতি তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের আগে জমি এবং সন্তানকে বড় করে তোলার জন্য টাকা দাবি করেছিলেন। বিবাদের সূত্রপাত সেখান থেকেই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধেয় একটি ফটো স্টুডিউর বাইরে দু' জনের উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয়। তারপরেই বন্দুক বের করে দু' রাউন্ড গুলি চালান অভিযুক্ত। মমতাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। 

    তাঁদের মেয়ে জানিয়েছে, তাঁর বাবা, মা'কে নানা রকম অত্যাচার করতেন। বাবার বিবাহবর্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি মেয়ের। 

    দিন কয়েক আগেই স্ত্রী এবং শাশুড়িকে খুনের অভিযোগ ওঠে দিল্লির রোহিণীর এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ছেলের জন্মদিনের উপহার। পছন্দ হয়নি বাবার। তা নিয়েই তুমুল বাক-বিতণ্ডা। পরিণতি হল ভয়াবহ। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, ছেলের জন্মদিনের উপহার নিয়ে বাক-বিতণ্ডা এতটাই বাড়ে, স্ত্রী এবং শাশুড়িকে খুন করেছেন দিল্লির রোহিণীর এক ব্যক্তি। 

    জানা যায়, দুই মৃতার নাম কুসুম সিংহ এবং প্রিয়া সেহগল। কুসুমের বয়স ৬৩। প্রিয়ার বয়স ৩৪। প্রয়ার ছেলের জন্মদিন উপলক্ষেই মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন কুসুম।  এতদূর পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। ওই জন্মদিনের অনুষ্ঠানেই উপহার নিয়ে বিবাদ হয় প্রিয়া এবং তাঁর স্বামী যোগেশের। পরিস্থিতি সামাল দিতেই সেখানে থেকে গিয়েছিলেন কুসুমও। তবে কুসুমের ছেলে মেঘ, বয়স ৩০, জানিয়েছেন, জন্মদিন পর্ব মিটে যাওয়ার পর, তিনি মা'কে ফোন করলেও, ফোনে পাননি। তারপরেই হাজিন হন দিদির বাড়িতে। দেখেন, বাড়ি বাইরে থেকে তালাবন্ধ। দরজার বাইরে গড়িয়ে এসেছে রক্তের দাগ। 

    জানা গিয়েছে, মেঘের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই যোগেশকে গ্রেপ্তার করেছে। খুনে ব্যবহৃত কাঁচিও উদ্ধার করেছে বলে খবর সূত্রের। পুলিশ সূত্রে খবর, মেঘ, কুসুমের ছেলে, পুলিশকে জানিয়েছেন, ২৮ আগস্ট প্রিয়ার ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে কুসুম প্রিয়ার বাড়ি গিয়েছিলেন। মেয়ে-জামাইয়ের বিবাদের কারণে তিনি রয়ে গিয়েছিলেন সেখানেই। ৩০ আগস্ট মেঘ বার বার কুসুমকে ফোন করেও পাননি এমনকি ওই পরিবারের কারও সঙ্গেই যোগাযোগ করতে পারেননি।

    পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তিনি তৎক্ষণাৎ হাজির হন প্রিয়ার বাড়ির সামনে। পুলিশকে ওই যুবক জানান, সেখানে পৌঁছে দেখেন, দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। দরজার বাইরে গড়াচ্ছে রক্ত। তিনি তৎক্ষণাৎ ফোন করেন পুলিশে। পরিবারের অন্যান্যদের খবর দেন। ঘরের দরজা ভেঙে দেখেন, ঘরের ভিতর, মেঝেতে রক্তের মধ্যে ভাসছেন প্রিয়া এবং কুসুম। মেঘের অভিযোগ, যোগেশ, প্রয়ার স্বামী, বর্তমানে যিনি বেকার ছিলেন, তিনিই দু' জনকে খুন করে, ছেলে সঙ্গে নিয়ে অন্যত্র পালিয়েছেন।

    যোগেশকে কেএনকে মার্গ পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে তার রক্তমাখা পোশাক এবং অপরাধে ব্যবহৃত এক জোড়া কাঁচি উদ্ধার করা হয়। পুলিশের মতে, পারিবারিক বিরোধের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। 

     
  • Link to this news (আজকাল)