• 'বিয়ের আগে একবার...', হবু স্ত্রীর সঙ্গে উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠতে চেয়েছিল যুবক, রাজি না হওয়ায় হাড়হিম কাণ্ড ...
    আজকাল | ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: হবু স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে চেয়েছিল যুবক। কিন্তু কিশোরী তাতে রাজি ছিল না। এদিকে ফাঁকা বাড়িতে যৌনতার শখ মাথায় চাপে যুবকের। স্ত্রীর মেজাজ দেখে রেগে লাল হয়ে যায়। অবশেষে কিশোরীকে ধর্ষণ করে, শ্বাসরোধ করে খুন করল সে। বিয়ের আগে হাড়হিম কাণ্ডে শিউরে উঠেছেন সকলে। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালগড়ে। এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক যুবককে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীকে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার জন্য জোরাজুরি করছিল ওই যুবক। এদিকে যৌনতায় লিপ্ত হতে অনিচ্ছুক ছিল ওই কিশোরী। এর জেরেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। 

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার। বিদালধার গ্রামে ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়েছিল যুবক। এর কয়েক মাস আগেই কিশোরীর সঙ্গে যুবকের বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল। কাজের জন্য কিশোরীর বাবা, মা বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়ি ফাঁকা ছিল। সেই নির্জনতার সুযোগেই অভিযুক্ত যুবক কিশোরীর সঙ্গে দেখা করতে আসে। 

    ফাঁকা বাড়িতে কিশোরীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে চেয়েছিল যুবক। কিন্তু তাতে আপত্তি জানায় কিশোরী।‌ এরপরেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে। তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে কাছের একটি জঙ্গলে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল। বাড়িতে ফিরেই মেয়ের নিথর শরীর দেখে আঁতকে ওঠেন বাবা, মা। দ্রুত থানায় অভিযোগ জানানো হয়। যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান কিশোরীর মা। অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে সে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। অন্যদিকে কিশোরীর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসেই উত্তরপ্রদেশে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুর জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল মহারাজপুর এলাকায়। এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে দু'জনকে বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে ১৫ বছর বয়সি এক কিশোর রয়েছে। তাকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে। চতুর্থ অভিযুক্ত যুবক এখনও পর্যন্ত পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। 

    গত সোমবার থানায় পৌঁছে গণধর্ষণের অভিযোগটি জানায় খোদ নির্যাতিতা নাবালিকা। সে জানায়, আসল ঘটনাটি ঘটেছিল ২৬ জুলাই। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সত্যজিৎ গুপ্ত জানিয়েছেন, ঘটনার দিন নাবালিকা তার প্রেমিকের সঙ্গে ছিল। প্রেমিকের নাম, মহেশ। ১৯ বছরের তরুণ ফতেহপুর জেলার বাসিন্দা। জিনিসপত্র কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মহারাজপুরের একটি নির্জন এলাকায় নাবালিকাকে নিয়ে গিয়েছিল মহেশ। সেখানেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে প্রেমিক। 

    সেই সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মহেশের আরও দুই বন্ধু।‌ একজন ১৫ বছরের কিশোর ও আরেকজন ১৯ বছরের লাকি। সেই ঘটনার ভিডিও তোলে দুই বন্ধু। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, এই ভিডিওটি নিয়ে তারা নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেল করতে পারবে। নাবালিকার থেকে সাত হাজার টাকা চেয়েছিল তারা। কিন্তু যৌন নির্যাতনের পর নাবালিকা হাত জোড় করে জানায়, তার কাছে এক টাকাও নেই। সে ওই টাকা দিতে অপারগ। 

    অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার অভিষেক পাণ্ডে জানিয়েছেন, সেই রাতেই মহেশের আরও দুই বন্ধু নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করে। তখনই এলাকাটি ছেড়ে পালিয়ে যায় নাবালিকার প্রেমিকা। সেই সময় নাকের দুলটি দিয়ে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিল সে। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি কেউ। নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে তারা। 

    রাতে নির্জন এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা একাই ছিল নাবালিকা।‌ অবশেষে এক অভিযুক্ত তাকে বাইকে করে বাড়ি পৌঁছে দেয়। গত সোমবার নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে ক্রাইম ব্রাঞ্চকে নিয়ে মহারাজপুর পুলিশ তদন্ত শুরু করে। মহেশের দুই বন্ধুকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৯ বছরের তরুণকে জেল হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে ১৫ বছরের কিশোরকে। 

    মহেশের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় একটি মামলা রুজু করেছে তারা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। গণধর্ষণের অভিযোগটি তারপরেই প্রমাণিত হবে‌। রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারীরা। 
  • Link to this news (আজকাল)