• মদের নেশা বাবার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ! টাকা না পাওয়ায় ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড, ছেলের কাণ্ডে পুলিশের চোখ ছানাবড়া
    আজকাল | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইট দিয়ে বাবার মাতা থেঁতলে খুন করার অভিযোগ ১৯ বছর বয়সি এক তরুণের বিরুদ্ধে। বাবাকে খুনের পর তাঁর দেহের পাশে শুয়েই কাটিয়ে দিল গোটা রাত। এই ঘটনার পরেই অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে নয়ডায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে সরফবাদ গ্রামে ৪৩ বছর বয়সি গৌতম নামের এক যুবকের মাথায় আঘাত করে খুন করেন তাঁর ছেলে। ইট দিয়ে বাবার মাতা থেঁতলে দিয়েছিল সে। ঘটনাস্থলেই যুবকের মৃত্যু হয়। খুনের পর বাবার মৃতদেহের পাশেই ঘুমিয়ে পড়ে ঘাতক ছেলে। রবিবার তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

    পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত উদয় জানিয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিবাদকে কেন্দ্র করে রাগের মাথায় বাবাকে খুন করেছে সে। পাশাপাশি সে এও জানিয়েছে, মদ কেনার জন্য বাবার কাছে টাকা চেয়েছিল। কিন্তু বাবা সেই টাকা দেননি। প্রতিদিনের হাতখরচের টাকাও কমিয়ে দেন। সেই কারণেই ঘটনার রাতে বাবার সঙ্গে ঝামেলা হয়েছিল তার। এরপর খুন করে বাবার মৃতদেহের পাশে শুয়েছিল সে। 

    রবিবার সকালে গৌতমের ভাই থানায় খুনের ঘটনাটি জানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই সেই ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ঘর থেকেই অভিযুক্ত উদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। 

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই জমি বিবাদকে কেন্দ্র আরও একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। সেবার মা-ছেলের বিবাদ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছল, মা-কে খুন করে মাটিতে পুঁতে দিল ছেলে। শুধু তাই নয়, ঘরের ঠিক পাশের গাছে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। পরিস্থিতি দেখে হতবাক গ্রামবাসীরা। কেউ বুঝতেই পারছেন না, কী ঘটে গেল। 

    ঘটনাটী ঘটেছে মহারাষ্ট্রের লাতুরে। শনিবারেই সামনে আসে গোটা ঘটনা। জানা গিয়েছে ৪৫ বছরের ছেলে বাবান ঘুতে, ৭০ বছর বয়সী মা লক্ষ্মীবতী ঘুগেকে খুন করে, নিজে আত্মহত্যা করেছেন। সূত্রের খবর তেমনটাই। রেনাপুর তালুকের সাংভি গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।

    প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মূলত একটি জমিকে কেন্দ্র করেই বিবাদ মা-ছেলের। ছেলে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর মা-কে ওই জমি বিক্রি করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। দাবি ছিল, ভাল দামে ওই জমি বিক্রির সুযোগ রয়েছে। এতে পরিবারের কাছে একসঙ্গে মোটা অঙ্কের টাকা আসবে। যদিও মা কোনওভাবেই জমি বিক্রির সিদ্ধান্তে রাজি ছিলেন না। মাঝে মাঝেই এই বিষয়কে কেন্দ্র করে মা-ছেলের মধ্যে বিবাদ চলত। এক একদিন বিবাদ অন্য মাত্রা পেত বলেও জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে।

    জানা যায়, ঘটনার দিনেও দু’ জনের মধ্যে ঝামেলা হয়। যদিও গ্রামবাসীরা প্রথমে কিছু বুঝতে পারেননি। আচমকা গ্রাম থেকে লক্ষ্মীবাঈ নিখোঁজ হয়ে যান। লক্ষ্মীবাঈয়ের হঠাৎ নিখোঁজ হওয়ায় গ্রামবাসীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে তাকে খুঁজতে শুরু করেন। তার আগে পর্যন্ত কেউ ঘূণাক্ষরেও জানতেন না, কী হতে চলেছে। গ্রামবাসীরা হঠাত লক্ষ করেন, আখ ক্ষেতে নতুন করে মাটি নষ্ট হওয়ার দাগ। সন্দেহ বাড়তেই ওই জায়গার মাটি খুঁড়তেই দেখা যায়, মাটির নীচে লক্ষ্মীবাঈয়ের দেহ।

    পুলিশ জানিয়েছে যে হত্যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাবান তাঁর বাড়ির কাছে একটি গাছে ঝুলে আত্মহত্যা করেন । প্রাথমিকভাবে ধারণা, সম্ভবত অপরাধবোধ, গ্রেপ্তারের ভয়, অথবা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার কারণেই মা-কে খুন করার পরে, নিজের জীবনও শেষ করে দেন ছেলে। 

    রেনাপুর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে, উভয় মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পরে মা ও ছেলেকে একই চিতায় দাহ করা হয়। ঘটনায় পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে। তবে কেবল জমি নিয়ে বিবাদকে ঘিরে মা-কে খুন করে দিয়েছে ছেলে, ভাবতেও পারছেন না গ্রামবাসীরা। লক্ষ্মীবাঈইয়ের দেহ উদ্ধার এবং ঠিক তার পরেই ছেলের দেহ উদ্ধার। দুই ঘটনায় শোকে কাতর পাড়া -পড়শিরা। কেউ মানতেই পারছেন না এই ধরনের ঘটনা ঘটে গিয়েছে তাঁদের গ্রামেই। 
  • Link to this news (আজকাল)