‘কেউ কেউ ঘোলা জলে মাছ ধরতে নামবে’, ‘সুযোগসন্ধানী’দের কড়া বার্তা মমতার
প্রতিদিন | ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের দূরত্ব খুব বেশি। তাই সীমান্ত এলাকায় চলছে বিশেষ নজরদারি। নেপালের অশান্তিকে হাতিয়ার করে কেউ কেউ অশান্তির ছক কষতে পারে, আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার উত্তরকন্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ‘সুযোগসন্ধানী’দের কড়া বার্তা দিলেন তিনি।
কখনও বাম আবার কখনও বিজেপিকে দোষেন মমতা। বলেন, “কেউ কেউ ঘোলা জলে মাছ ধরতে নামবে, আমি বলব সতর্ক থাকতে। কেউ কেউ নিজের স্বার্থে এই কাজগুলি করে। সঙ্গে একটা ইস্যু রাখে। নেপালে বামপন্থী সরকার। আমাদের বামেদের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। নিজের স্বার্থে দেশভাগ, রাজ্যভাগ, জেলাভাগ করব। কিছু সুযোগসন্ধানী লোক আছে। তারা সুযোগ নেবে। কিন্তু তা যেন মানুষের জীবন না জ্বালায়। অত্যাচার না করে। অনাচার না করে। আমাদের দলের কেউ হলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। জানো আমি ব্যবস্থা নিই। আমি নিজেদের দলের অনেকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছি।”
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর নেপালে নিষিদ্ধ হয় ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ প্রায় সব ধরনের সোশাল মিডিয়া। সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নেপাল প্রশাসনের সঙ্গে সরকারি ভাবে নথিবদ্ধ হয়নি। সাতদিনের ডেডলাইন দিলেও তা মেনে চলেনি ২৬টি সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের একটিও। তাই এই কড়া সিদ্ধান্ত নেয় কাঠমান্ডু সরকার। এমন সিদ্ধান্তেই বেজায় ক্ষেপেছে নেপালের ‘জেন জি’। সোমবার হাজার হাজার প্রতিবাদী কাঠমান্ডুর রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখান। রাতের মধ্যে তা হিংসাত্মক চেহারা নেয়। এরপর মঙ্গলবার আন্দোলনের ঝাঁজ আরও বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে জনরোষের মুখে পড়ে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন ওলি। কিন্তু পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে তো আসেনিই, উলটো বিভিন্ন ধরনের অশান্তির খবর আসছে। আর তাতেই উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তি ফেরানোর আর্জি জানিয়ে একটি কবিতাও লিখেছেন তিনি। বর্তমানে জলপাইগুড়ি সফরে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বুধবার রাতে তাই জলপাইগুড়িতে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিছু কাজ থাকায় মুখ্যসচিব ফিরবেন কলকাতায়। শান্তি ফিরলে হয়তো বৃহস্পতিবার শহরে ফিরবেন মমতা। নইলে সিদ্ধান্ত বদল।