গোবিন্দ রায়: পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশে পাঠানো নিয়ে আগেই কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এবার এই সংক্রান্ত মামলা শোনার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আবারও আদালতের সমালোচনার মুখে পড়ল কেন্দ্র সরকার। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলায় আপাতত মামলা শোনার এক্তিয়ারের প্রশ্নে কেন্দ্রের দাবি খারিজ করে দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। ২৩ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
এবিষয়ে আদালতের নির্দেশ, এক্তিয়ার নিয়ে মূল মামলার সঙ্গেই বিবেচনা করবে আদালত। তার আগে যেভাবে এবং যে পদ্ধতিতে দুটি পরিবারকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে, সেই ব্যাপারে কেন্দ্র হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানাবে। তার পালটা জবাব দেবে রাজ্য ও ম্যামলাকারীরা। আদালতে মামলাকারী পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার কেন্দ্রের দেওয়া হলফনামা দেখায়। দাবি করে, ২৪ জুন পুলিশ খতিয়ে দেখেই তাঁদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। তারা প্রকৃত ওই দেশের নাগরিক কি না, তা খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা হয়নি। কিন্তু আদতে তাঁরা বীরভূমের মুরারইয়ের আদি বাসিন্দা।
কেন্দ্রের ২০২৫ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ডি-পোর্ট করার আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। স্বরাষ্ট্র সচিবের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ডিএমকে যাবতীয় খোঁজখবর নিতে হয়। একমাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথি পাওয়া না গেলে তখনই দেশ থেকে বিতাড়িত করা যায়। অভিযোগ, এখানে সেটা হয়নি। এটাই এখানে মামলা হওয়ার পক্ষে সবচেয়ে বড় যুক্তি। এদিন আগের দেওয়া রিপোর্ট উল্লেখ করে রাজ্য জানায়, এরা বীরভূমের বাসিন্দা সেসব তথ্য প্রমাণ -সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানানো হয়েছে আগেই। অথচ সেই রিপোর্টের আজ পর্যন্ত কোনও জবাব দিল্লি প্রশাসন দেয়নি।