পুজোর মুখে বন্ধ ডুর্য়াসের ৩টি চা বাগান, জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শ্রমিকদের
প্রতিদিন | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: আর মাত্র কয়েকদিন বাকি পুজোর। তার আগেই একই রাতে বন্ধ হয়ে গেল ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের তিনটি চা বাগান। পুজোর আগে বোনাস দেওয়ার ভয়ে মালিকপক্ষ বাগান বন্ধ করেছে বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। যার ফলে বিপাকে ৫ হাজারের বেশি শ্রমিক পরিবার। ঘটনার প্রতিবাদে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন শ্রমিকদের একাংশ। অবরোধ তুলতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়েন স্থানীয় বিডিও ও পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে একের পর এক খবর আসে তিনটি চা বাগানের মালিকপক্ষ বাগান বন্ধ করে পালিয়ে গিয়েছেন। রাতে প্রথমে ডুয়ার্সের চামুর্চি চা বাগান বন্ধের খবর ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনার ঘণ্টাখানেক যেতে না যেতেই ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের রেড ব্যাংক এবং সুরেন্দ্রনগর চা বাগান কর্তৃপক্ষ বাগান বন্ধ করে চলে গিয়েছেন বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। একই রাতে পরপর তিনটি চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাঞ্চল্য। পুজোর মুখে রাতারাতি কাজ হারিয়ে বিপাকে হাজার হাজার শ্রমিক পরিবার।
বাগান বন্ধের কারণে শুক্রবার সকাল থেকে বন্ধ চা বাগানের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করে শ্রমিকরা। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় স্থানীয় প্রশাসন। গিয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বও।
তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের বানারহাটের ব্লক সভাপতি বিধান সরকার বলেন, “মালিক কর্তৃপক্ষ বোনাস না দিয়ে রাতের অন্ধকারে চলে গিয়েছে। রাতে প্রথম বিষয়টি শ্রমিকদের নজরে আসে। তারা দেখতে পায় বাগানের ম্যানেজার বাংলোর গেটের সামনে পাহাড়া নেই। কারখানার গেটের সামনে প্রহরীকেও দেখতে পারেনি। তখনই সন্দেহ হয় তাঁদের। খবর ছড়িয়ে পড়তে রাতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে চামুর্চি চা বাগানে। তারপর রাতেই খবর পাওয়া যায় রেডব্যাংক চা বাগানেও একই ভাবে মালিক কর্তৃপক্ষ নোটিস না দিয়ে চলে গিয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। শ্রমদপ্তরের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। পুজোর আগে শ্রমিকরা যাতে বোনাস পায় সেই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছি।”