'চলো বিয়ে করে নিই', প্রেমিককে রাজি করাতে ৬০০ কিলোমিটার পাড়ি, প্রেমিকাকে মেরে গাড়িতে ভরে দিলেন শিক্ষক...
আজকাল | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেমিকা গিয়েছিলেন ৬০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে। উদ্দেশ্য ছিল, প্রেমিককে রাজি করাবেন বিয়েতে। ঘটনা ঘটল একেবারে বিপরীত। উদ্ধার হল যুবতীর দেহ। জানা গিয়েছে, ওই যুবক পেশায় স্কুল শিক্ষক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রেমিকাকে লোহার রড দিয়ে খুনের।
রাজস্থানের ঝুনঝুনুর অঙ্গনওয়াড়ি সুপারভাইজার মুকেশ কুমারী। তাঁর বিয়ে হয়েছিল আগেই। তবে প্রায় বছর দশ আগেই স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে যান। গত বছরের অক্টোবরে, তিনি ফেসবুকে বারমেরের একজন স্কুলশিক্ষক মানারামের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দু' জনের দেখা সাক্ষাত বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে ঘনিষ্ঠতা। মুকেশ প্রায়শই ঝুনঝুনু থেকে বারমেরে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরে মানারামের সঙ্গে দেখা করার জন্য গাড়ি চালিয়ে যেতেন।
মুকেশ কুমারী চেয়েছিলেন পুনরায় বিয়ে করে থিতু হতে। মাঝে মাঝেই সেই প্রসঙ্গ তুলতেন। এবারেও তিনি গাড়ি চালিয়েই গিয়েছিলেন প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে। মানারামেরও বিয়ে হয়েছিল আগেই। তবে মুকেশ কুমারীর বিবাহবিচ্ছেদ হলেও, তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে এখনও। পুলিশ জানিয়েছে, মুকেশ মানারামকে বিয়ের পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। সাম্প্রতিককালে দু' জনের একাধিকবার বিবাদ হয়েছে এই প্রসঙ্গে।
১০ সেপ্টেম্বর, মুকেশ ঝুনঝুনু থেকে তাঁর অল্টো গাড়ি চালিয়ে বার্মেরের মানারামের গ্রামে যান। মানারামের বাড়িতে পৌঁছয় এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের তাঁদের সম্পর্কের কথা জানান। এতে মানারাম ক্ষুব্ধ হন এবং স্থানীয় থানা পর্যন্ত গড়ায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে বলেন।
মানারাম মুকেশকে বলেন তাঁরা এই বিষয়ে কথা বলবেন। সন্ধেয়, দু' জনে একসঙ্গে থাকাকালীন তিনি লোহার রড দিয়ে মুকেশের মাথায় আঘাত করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ লোহার রডের আঘাতেই মুকেশের মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর পর, তিনি মুকেশের মৃতদেহ তাঁর গাড়ির ড্রাইভিং সিটে রেখে রাস্তা থেকে গড়িয়ে ফেলেন যাতে এটি দুর্ঘটনা বলে মনে হয়। পরে বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন সকালে পুলিশে জানান প্রেমিকার মৃত্যুর খবর।
পুলিশকে মানারাম এটি দুর্ঘটনা বললেও, তদন্তে নেমেই পুলিশের সন্দেহ হয়। মানারামকে টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর, তিনি স্বীকার করে নেন, টানা বিয়ের চাপে তিনি খুন করেছেন প্রেমিকাকে।
এর মধ্যেই সামনে এসেছে কর্ণাটকের একটি ঘটনা। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে পথের কাঁটা স্বামী নয়, শিশু কন্যাসন্তান। প্রেমের মাঝে একমাত্র বাধা ছিল সে। তাই নিত্যদিন মা ও তাঁর প্রেমিক মিলে শারীরিক নির্যাতন করতেন পাঁচ বছরের মেয়েকে। মারতে মারতে অচৈতন্য করে দিতেন। এবার মেয়ের মৃত্যু নিশ্চিত করতে নদীতে দেহ ছুড়ে ফেললেন মা ও তাঁর প্রেমিক। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের হাভেরিতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে রানেবেন্নুর তালুকে। শনিবার হাভেরির পুলিশ আধিকারিক যশোদা ভান্তাগোদি জানিয়েছেন, আন্নাপ্পা ও জ্যোতি গত ২ আগস্ট পাঁচ বছরের শিশুকন্যাকে তুমুল শারীরিক নির্যাতন করেন। বেধড়ক মারধর করা হয় শিশুকন্যাকে। এরপর জীবিত অবস্থায় শিশুকন্যার দেহটি ছুড়ে ফেলেন তুঙ্গভদ্রা নদীতে।