অনলাইনের সঙ্গেই হাতি-সাফারি অফলাইনেও, আজ খুলছে জঙ্গল, পুজোয় হতে পারে বাড়তি রাইড
বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি ও সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: অনলাইনের সঙ্গেই ডুয়ার্সের জঙ্গলে হাতি সাফারির সুযোগ থাকছে অফলাইনেও। এমনটাই জানানো হয়েছে বনদপ্তরের তরফে। তিনমাস বন্ধ থাকার পর আজ, মঙ্গলবার থেকে পর্যটকদের জন্য খুলছে জঙ্গল। পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তৈরি বনদপ্তর। জঙ্গলে সাফারির রুট সাফসুতরো করা হয়েছে। রং করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। পর্যটকদের ভিউ পয়েন্টের কাছাকাছি লাগানো হয়েছে হাতি-গন্ডারের প্রিয় ঘাস। ফলে এবার ওয়াচ টাওয়ার থেকে বন্যপ্রাণী দর্শন ভালোই হবে বলে মনে করছেন বনকর্তারা। খুশির খবর, জঙ্গলে ঘোরার খরচ বাড়ছে না। সাফারি করাতে গিয়ে যাতে কোনও বিপদ না-হয়, সেই প্রার্থনা করে সোমবার চিলাপাতায় বানিয়া নদীর তীরে মহাকালের পুজো দেন জিপসি মালিকরা।
জলদাপাড়া ও গোরুমারা মিলিয়ে আপাতত ১১টি কুনকি হাতি রাখা হচ্ছে পর্যটকদের সাফারির জন্য। এর মধ্যে জলদাপাড়ায় থাকছে সাতটি হাতি, বাকি চারটি কুনকি থাকছে গোরুমারায়। তবে পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে পুজোয় বাড়তি হাতি সাফারির ব্যবস্থা করা হতে পারে। উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি বলেন, সাফারির জন্য যেসব কুনকি থাকছে, তাদের মধ্যে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে আমরা গোরুমারা ও জলদাপাড়া, দু-জায়গাতেই একটি করে বাড়তি হাতি প্রস্তুত রেখেছি। সব যদি ঠিকঠাক চলে পুজোয় পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ওই হাতি দুটিকেও আমরা সাফারিতে ব্যবহার করতে পারি। এমনই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে রাইডের সংখ্যা বাড়বে। তবে বক্সায় হাতি সাফারির কথা শোনা গেলেও তা এবার পুজোয় চালু হচ্ছে না। বনদপ্তর সূত্রে খবর, বক্সায় সাফারির জন্য দুটি কুনকির জলদাপাড়ায় প্রশিক্ষণ চলছে। সেক্ষেত্রে শীতের মরশুমে বক্সায় হাতি সাফারি চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। বক্সা দুর্গে ঘোড়ার পিঠে চড়ে পৌঁছোনোর বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে কথাবার্তা চলছে। এদিকে, হাতি সাফারির জন্য একমাস আগে থেকে অনলাইনে বুকিং চালু হলেও কার সাফারির বুকিং থাকছে অফলাইনে। এনিয়ে অবশ্য পর্যটকদের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ রয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, অনলাইনে কার সাফারির বুকিং চালু হলে কাউন্টারে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটার ঝামেলা থাকত না।
গোরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন বলেন, অনলাইনের পাশাপাশি গোরুমারায় অফলাইনে হাতি সাফারির সুযোগ থাকছে। অফলাইনে বুকিংয়ের জন্য আপাতত একটি কুনকি রাখা হচ্ছে। যাঁরা আগে আসবেন, তাঁরাই অফলাইনে বুকিং করে ধূপঝোড়া থেকে ওই এলিফ্যান্ট রাইডের সুযোগ পাবেন। অনলাইনে বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও হাতি সাফারি শুরু হবে ধূপঝোড়া থেকেই। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণী সংরক্ষক নবিকান্ত ঝা বলেন, জলদাপাড়ায় কার সাফারির পাঁচটি রুট সাফসুতরো করা হয়েছে। চিলাপাতা ও কোদালবস্তিতে পরিষ্কার করা হয়েছে একটি করে সাফারির রুট। বক্সার রাজাভাতখাওয়ায় দুটি ও জয়ন্তীতে কার সাফারির তিনটি রুটে পর্যটকদের যাতায়াতে কোনও সমস্যা না-হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।