প্রেম করে বিয়ে, তবুও সুখী নন স্ত্রী! স্বামীর বন্ধুর সঙ্গে উদ্দাম যৌনতা , ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কের চরম পরিণতি...
আজকাল | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেম, প্রতারণা ও খুন। আবারও এক হাড়হিম কাণ্ডের সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশ। প্রেম করে বিয়ের পরেও, স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছয় বছর আগে ২২ বছরের নেহা ও ২৬ বছরের নাগেশ্বরের বিয়ে হয়েছিল। নেহা আদতে নেপালের বাসিন্দা ছিলেন। রাজাবাড়ি গ্রামে দম্পতি থাকত। তাঁদের এক ছেলে রয়েছে। সুখের সংসারে আচমকা ঝড় বয়ে যায় ঠিক একবছর আগে। অন্য একটি মামলায় জেলে হেফাজতে ছিলেন নাগেশ্বর। সেই সময়েই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নেহা। নাগেশ্বরের বন্ধু জিতেন্দ্রর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয় নেহার।
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর, বাড়িতে ফিরেই নাগেশ্বর জানতে পারেন, নেহা জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। আবারও নেহাকে সংসারমুখী করার চেষ্টা করেন নাগেশ্বর। সন্তানের কথা ভেবে সম্পর্ক ভাঙার জন্য অনুরোধ করেন স্ত্রীকে। এর মাঝেই জিতেন্দ্রর সঙ্গে বচসা শুরু হয় নাগেশ্বরের। যা ক্রমেই আরও বাড়তে থাকে। অবশেষে নাগেশ্বরকে খুনের পরিকল্পনা করেন নেহা ও জিতেন্দ্র।
১২ সেপ্টেম্বর বিসমিল নগরে নাগেশ্বরকে নিয়ে নেহা ঘুরতে যান। সেখানে যাওয়ার পর নাগেশ্বরকে মদ্যপান করান। নিজেও স্বামীর সঙ্গে মদ্যপান করেন নেহা। তবে ধৈর্য ধরেছিলেন, কখন নাগেশ্বর অচৈতন্য হয়ে পড়বেন। তুমুল মত্ত অবস্থায় নাগেশ্বর অচৈতন্য হতেই, ওড়না দিয়ে তাঁর হাত, পা ও মুখ বেঁধে দেন নেহা। এরপর জিতেন্দ্রর সঙ্গে মিলে নাগেশ্বরের শ্বাসরোধ করে খুন করেন।
খুনের প্রমাণ লোপাটের জন্য নাগেশ্বরের দেহ বাইকে তুলে, ২৫ কিলোমিটার দূরে নির্জন এক রাস্তার পাশে ফেলে রেখে তাঁরা পালিয়ে যান। এরপর তাঁদের মুম্বইয়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পুলিশ তদন্তে নেমেই সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়। দীর্ঘ জেরায় নেহা ও জিতেন্দ্র খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নেন। ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত আগস্ট মাসেই বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে আরও একটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। নয় বছর বয়স থেকে বন্ধুত্ব। একরাতেই শেষ হল সম্পর্ক। ৩৯ বছর বয়সি এক যুবককে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁর ছোটবেলার বন্ধুর বিরুদ্ধে। জানা গেছে, বাড়ি ঢুকেই যুবককে খুন করে তাঁর বাল্যবন্ধু।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃত যুবকের নাম, বিজয় কুমার। অভিযুক্ত যুবকের নাম, ধনঞ্জয় ওরফে জয়। গত তিন দশক ধরে তাঁরা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। বেঙ্গালুরুর মাগাড়িতে বেড়ে উঠেছেন দুই বন্ধু।
দশ বছর আগে আশা নামের এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বিজয়। তখন থেকেই তাঁরা কামাক্ষীপল্যতে থাকতেন। পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি বিজয় জানতে পারেন, ধনঞ্জয়ের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত আশা। দু'জনকে আপত্তিকর অবস্থায় একদিন দেখেও ফেলেছিলেন। আশার ফোনে দু'জনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবিও দেখেন বিজয়। এরপরই তুমুল দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।
বিয়ে টিকিয়ে রাখতে স্ত্রী আশাকে নিয়ে মাচোহাল্লিতে চলে যান বিজয়। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরেও ধনঞ্জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন আশা। দু'জনের প্রায়ই কথা হত। বিষয়টি জানতে পেরেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন বিজয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়িতে ছিলেন তিনি। সেই রাতেই ওই এলাকায় বিজয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের অনুমান, ঘনিষ্ঠ বাল্যবন্ধু ও স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই বিজয়কে খুন করা হয়েছে। সম্ভবত এই খুনটি আশা ও ধনঞ্জয় পরিকল্পনামাফিক করেছেন। আশাকে ইতিমধ্যেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ধনঞ্জয় পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।