খেলতে খেলতে ছাদ থেকে পড়েই মৃত্যু নাবালিকার! দুই সপ্তাহ পর সৎ মায়ের কীর্তি ফাঁস হতেই শিউরে উঠল পুলিশ ...
আজকাল | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছাদ থেকে হঠাৎ নীচে পড়ে গিয়েছিল নাবালিকা। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধারের পর জানা যায়, ছাদে একা একা খেলছিল সে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চারতলা থেকে নীচে পড়ে যায়। প্রথমে সকলেই জানতেন, দুর্ঘটনার জেরে নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তার নাবালিকার মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পর জানা গেল, দুর্ঘটনার জেরে নয়, তাকে খুন করা হয়েছিল। তাও আবার পরিকল্পনামাফিক। নাবালিকার সৎ মা চারতলার ছাদ থেকে তাকে ধাক্কা মেরে নীচে ফেলে দিয়েছিল। খুনের দুই সপ্তাহ পর এক প্রতিবেশী সিসিটিভি ফুটেজ জমা দিতেই আসল ঘটনা প্রকাশ্যে এল। হাড়হিম কাণ্ড দেখেই শিউরে উঠেছে পরিবার, স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বিদার জেলায়। যা প্রথমে সকলেই ভেবেছিলেন নিছক দুর্ঘটনা। কয়েক দিন পর জানা গেল , সেটিই ছিল পরিকল্পনামাফিক হত্যাকাণ্ড। গত ২৭ আগস্ট আর্দশ কলোনিতে সাত বছর বয়সি এক নাবালিকা আবাসনের চার তলা থেকে পড়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, নাবালিকা খেলতে খেলতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়। কিন্তু তদন্তে নেমে শিউরে ওঠে পুলিশ। জানা যায়, নাবালিকাকে আদতে খুন করা হয়েছিল।
সেদিন সন্ধ্যায় আর্দশ কলোনির বাসিন্দারা বিকট শব্দ শুনে আবাসনের নীচে ছুটে আসেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, সাত বছরের ওই নাবালিকা রক্তাক্ত অবস্থায় আবাসনের নীচেই পড়ে আছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেও শেষরক্ষা হয়নি। নাবালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। নাবালিকার বাবা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, আবাসনের ছাদে খেলাধুলা করছিল নাবালিকা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়। পুলিশ সেই সময় দুর্ঘটনাবশত মৃত্যুর মামলা রুজু করে।
দুই সপ্তাহ পর ঘটনার মোড় ঘুরে যায়। গত ১২ সেপ্টেম্বর এক প্রতিবেশী একটি সিসিটিভি ফুটেজ জমা দেন থানায়। ওই আবাসনের পাশের বিল্ডিংয়েই ছিলেন ওই প্রতিবেশী ব্যক্তি। তিনিও ওই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। দেখা গেছে, সেদিন ছাদে নাবালিকার সঙ্গে তার সৎ মা রাধাও ছিলেন। একটি চেয়ারের উপর বাস্কেট রেখেছিলেন। তাতে ওই নাবালিকাকে বসিয়ে দেন। কয়েক সেকেন্ড পর সেটি ধাক্কা দিতেই নাবালিকা ছাদ থেকে নীচে পড়ে যায়।
সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিডিও দেখে শিউরে ওঠে নাবালিকার পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারাও। এমনকী পুলিশও চমকে যায়। নাবালিকার মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পর জানা যায়, দুর্ঘটনার জেরে নয়, আদতে তাকে খুন করা হয়েছে। এরপরই নাবালিকার ঠাকুমা বিদার গান্ধী গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই অভিযুক্ত রাধাকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ওই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে তারা। পাশাপাশি অভিযুক্ত রাধাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, নাবালিকার মা ছয় বছর আগে মারা যান। নাবালিকার বাবা সিদ্ধার্থ ২০২৩ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। রাধা ও সিদ্ধার্থের যমজ সন্তান রয়েছে। পুলিশের অনুমান, স্বামীর প্রথম স্ত্রীর সন্তানকে মন থেকে মেনে নিতে পারেননি রাধা। হিংসা, সম্পত্তির ভাগাভাগির জেরেই খুনের ঘটনাটি হয়তো ঘটেছে।