২৫ নয়, ২১ বছর বয়স থেকেই সরকারি দোকানে মিলবে মদ, দিল্লি সরকারের সিদ্ধান্তে বিতর্ক
প্রতিদিন | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ‘আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে’– কিন্তু ‘চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী’। সে উলটো পথে হাঁটবেই। বিজেপি শাসিত দিল্লির এখন সেই দুরাবস্তা। মদ দুর্নীতি নিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই মদ নিয়েই বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার সরকারের সিদ্ধান্ত হইচই ফেলে দিয়েছে রাজধানীতে।
সদ্য ক্ষমতায় আসা দিল্লির বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্ত, এবার থেকে ২১ বছর হলেই সরকারি দোকান থেকে মিলবে বিয়ার। ন্যুনতম বয়সসীমা চার বছর কমিয়ে আনা হচ্ছে। যদিও সরকারের দাবি, বিষয়টি এখনও আলোচনার স্তরে রয়েছে। ২৫ বছরের কম বয়স হলে পঞ্জাব বা মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলিতে মদের দোকানে ঢুকতেই দেওয়া হয় না। এই তালিকায় ছিল দিল্লিও। অবশ্য বিজেপি শাসিত হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশে অনেক আগে থেকেই ন্যূনতম বয়সসীমা ছিল ২১। একমাত্র গোয়ায় ছিল ১৮।
কেজরিওয়াল সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন দিল্লির মানুষকে নেশাগ্রস্ত করছে বলে প্রায়ই চিল-চিৎকার জুড়ে দিতেন গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েটরা। এছাড়াও মদ দুর্নীতি হয়েছে এই অভিযোগে মোদি সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআইকে আপ সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত লেলিয়ে দেয়। জেল খাটতে হয় মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল-সহ তিন হেভিওয়েট মন্ত্রীকে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি তদন্তকারী এই দুই সংস্থা। এবার দুর্নীতিতে না জড়ালেও বয়সসীমা নিয়ে বিতর্কে জড়াল রেখা গুপ্তার সরকার।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বয়সসীমা কমানোর বিষয়টি চিন্তাভাবনার স্তরে রয়েছে। এখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। তবে তোপ দেগেছে আম আদমি পার্টি। দলের হেভিওয়েট নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ জানান, বিজেপি শাসিত রাজ্য গুজরাত ও বিহারে মদ নিষিদ্ধ করেছে। অথচ দিল্লিকে মদে ভাসিয়ে দিতে চায়। কেজরিওয়াল ছাত্রদের পড়াশোনার ওপর জোর দিয়েছিলেন। আর রেখা গুপ্তা ছাত্রদের নেশাগ্রস্ত করে রাখতে চান। যাতে সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে না পারে।