মাত্র তিন মাস আগে বিয়ে, স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে ঘোর সন্দেহ! রাগের মাথায় স্বামী যা করলেন, শিউরে উঠেছে পুলিশ
আজকাল | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: মেয়ের চোখের সামনেই স্ত্রীকে পরপর ছুরির কোপ। রাগের মাথায় স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করলেন স্বামী। ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে ভরা রাস্তাতেই। এক বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে স্ত্রীকে খুন করেন ঘাতক স্বামী।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৮ বছর বয়সি তরুণীকে কুপিয়ে খুন করেন তাঁর স্বামী। বাস স্ট্যান্ডে ১২ বছরের মেয়ের সামনেই তরুণীকে খুন করেন তাঁর স্বামী। মৃত তরুণীর নাম, রেখা। তিনি দুই সন্তানের মা। অন্যদিকে অভিযুক্ত লোকেশের কোনও সন্তান নেই। রেখা ও লোকেশ তিন মাস আগেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিবাহ।
বেঙ্গালুরুতে স্থানান্তরিত হওয়ার লোকেশকে একটি কল সেন্টারের গাড়ির চালকের কাজ জোগাড় করে দেন রেখা। তরুণী সেই কল সেন্টারে কাজ করেন। কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার কিছুদিন পরেই রেখার চরিত্র নিয়ে সন্দেহ ঘনায় লোকেশের। তাঁর সন্দেহ ছিল, রেখা অন্য কোনও পুরুষের প্রতি আসক্ত।
গতকাল সকালে বাস স্ট্যান্ডে মেয়ের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন রেখা। বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময়েই ধারালো ছুরি নিয়ে হামলা চালান লোকেশ। রেখাকে পরপর ছুরির কোপ মারেন। রেখার মৃত্যু নিশ্চিত হতেই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত যুবক। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি করে রেখাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ এই ঘটনার পর অভিযুক্ত লোকেশের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, গত আগস্ট মাসেই বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে আরও একটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। নয় বছর বয়স থেকে বন্ধুত্ব। একরাতেই শেষ হল সম্পর্ক। ৩৯ বছর বয়সি এক যুবককে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁর ছোটবেলার বন্ধুর বিরুদ্ধে। জানা গেছে, বাড়ি ঢুকেই যুবককে খুন করে তাঁর বাল্যবন্ধু।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, মৃত যুবকের নাম, বিজয় কুমার। অভিযুক্ত যুবকের নাম, ধনঞ্জয় ওরফে জয়। গত তিন দশক ধরে তাঁরা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। বেঙ্গালুরুর মাগাড়িতে বেড়ে উঠেছেন দুই বন্ধু।
দশ বছর আগে আশা নামের এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বিজয়। তখন থেকেই তাঁরা কামাক্ষীপল্যতে থাকতেন। পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি বিজয় জানতে পারেন, ধনঞ্জয়ের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত আশা। দু'জনকে আপত্তিকর অবস্থায় একদিন দেখেও ফেলেছিলেন। আশার ফোনে দু'জনের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবিও দেখেন বিজয়। এরপরই তুমুল দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।
বিয়ে টিকিয়ে রাখতে স্ত্রী আশাকে নিয়ে মাচোহাল্লিতে চলে যান বিজয়। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরেও ধনঞ্জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন আশা। দু'জনের প্রায়ই কথা হত। বিষয়টি জানতে পেরেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন বিজয়। ঘটনার দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়িতে ছিলেন তিনি। সেই রাতেই ওই এলাকায় বিজয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশের অনুমান, ঘনিষ্ঠ বাল্যবন্ধু ও স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই বিজয়কে খুন করা হয়েছে। সম্ভবত এই খুনটি আশা ও ধনঞ্জয় পরিকল্পনামাফিক করেছেন। আশাকে ইতিমধ্যেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে ধনঞ্জয় পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।