• মাত্র ১৪ বছর বয়সে লিভ ইন সম্পর্ক! কন্যাসন্তানের জন্মও দিল নবম শ্রেণির ছাত্রী, এই রাজ্যের পুলিশের চোখ ছানাবড়া
    আজকাল | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বয়স মাত্র ১৪ বছর। হঠাৎ প্রেমের সম্পর্কের শুরু। তারপরেই লিভ ইন সম্পর্কে কিশোর ও কিশোরী। তাও আবার দুই পরিবারের সম্মতি নিয়েই লিভ ইন সম্পর্কের শুরু। কয়েক মাস পরেই ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দিল নবম শ্রেণির ছাত্রী। যে ঘটনায় রীতিমতো হতবাক পুলিশ। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের খুন্তি জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৪ বছরের কিশোরী ও ১৬ বছরের এক কিশোর লিভ ইন সম্পর্কে ছিল‌। সম্প্রতি এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছে ওই কিশোরী। তবে সবটাই হয়েছে রাজ্যের এক পুরনো প্রথা অনুযায়ী। 

    পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, পরিবারের অনুমতি নিয়েই ওই কিশোর ও কিশোরী লিভ ইন সম্পর্কে ছিল। এটিই ওই এলাকায় আদিবাসীদের একটি পুরনো রীতি। মঙ্গলবার রাতে খুন্তি সদর হাসপাতালে এক ফুটফুটে কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় কিশোরী। 

    শিশু সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক আলতাফ খান জানিয়েছেন, কেওরা পঞ্চায়েতের এক গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরী মঙ্গলবার মুর্হুর এক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হয়। সেই সময় তার মা সঙ্গে ছিলেন। আর ছিল ওই ১৬ বছরের কিশোর। তারা কেউই বিয়ে করেনি। আদিবাসীদের 'ধুকু' প্রথা অনুযায়ী লিভ ইন সম্পর্কে ছিল। 

    কিশোরী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে তাকে সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই নর্মাল ডেলিভারিতে কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। মা ও সদ্যোজাত সন্তান দুজনেই সুস্থ রয়েছে। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, কিশোরী স্থানীয় এক স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। মুর্হু থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত। সেখানেই স্থানীয় ওই কিশোরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। এরপর লিভ ইন সম্পর্কের শুরু। কয়েক মাস পরেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। 

    শিশু সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক আলতাফ খান আরও জানিয়েছেন, ওই পঞ্চায়েতের প্রতিটি গ্রামে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। শিশু শ্রমিক ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কর্মীরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে হদিশ চালাচ্ছেন। ঘটনাটি ঘিরে তদন্ত জারি রয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে লিভ ইন সম্পর্কে থাকাকালীন আরও এক ১৯ বছরের তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল। চলন্ত বাসে সন্তান প্রসব করেই, বাস থেকে ছুড়ে ফেলেছিল সদ্যোজাতকে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পারভানিতে। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সাড়ে ছ'টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পাথরি-সেলু সড়কের উপরে। চলন্ত বাসে ১৯ বছরে তরুণী সন্তান প্রসব করেন। এরপর স্বামীর সাহায্য নিয়ে সদ্যোজাতকে সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে, জানলা দিয়ে রাস্তায় ছুড়ে ফেলেন। 

    তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, রীতিকা ধেরে নামের ওই তরুণী এবং তাঁর স্বামী আলতাফ শেখ পুনে থেকে পারভানির দিকে যাচ্ছিল। রীতিকা ও আলতাফ গত দেড় বছর ধরে পুনেতে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তাঁরা আদতে পারভানির বাসিন্দা ছিলেন। এদিন পারভানিতেই দু'জনে একসঙ্গে ফিরছিলেন। 

    সন্ত প্রয়াগ ট্রাভেলস সংস্থার স্লিপার কোচের বাসে উঠেছিল দম্পতি। চলন্ত বাসের সিটে বসেই সন্তান প্রসব করেছিলেন। কেউ কেউ কান্নার আওয়াজ শুনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে সেই কান্নার আওয়াজ থেমে যেতেও দেখেন। একমাত্র বাসের চালক খেয়াল করেছিলেন, চলন্ত বাস থেকে ভারী কিছু ছিটকে রাস্তায় পড়ে গিয়েছে। বিষয়টি খেয়াল করেই আলতাফকে জিজ্ঞেস করেন বাসের চালক। উত্তরে তিনি বলেন, স্ত্রী বমি করেছিলেন। বাসে যেতে যেতে অস্বস্তি বোধ করছিলেন। সেই ব্যাগটিই বাইরে ফেলে দিয়েছেন। 

    এদিকে ততক্ষণে ১১২ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে বিষয়টি পুলিশে জানিয়ে দেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা সেই মহিলা। সঙ্গে সঙ্গে সেই বাসের খোঁজ চালিয়েও মাঝ রাস্তায় দাঁড় করানো হয়। দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আটক করে পুলিশ। জেরায় তাঁরা সবটাই স্বীকার করে নেন। দম্পতি জানায়, তারা অত্যন্ত গরিব। নিজেদের খাবার জোগাড় হয় না দু'বেলা। সন্তানের জন্ম দিলেও, তাকে খাওয়ানোর মতো আর্থিক অবস্থা তাদের নেই। এমনকী সন্তানের দেখভাল করার ক্ষমতা না থাকার জন্যেই এভাবেই মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। 

    রীতিকা দাবি করেছেন, আলতাফ তাঁর স্বামী। কিন্তু বিবাহের কোনও প্রমাণ তাঁরা কেউই দেখাতে পারেননি। এই ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৯৪(৩) এবং ৫ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। রীতিকাকে হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ। 
  • Link to this news (আজকাল)