লুকিয়ে অন্য পুরুষের সঙ্গে হোটেল রুমে স্ত্রী! একদল লোক নিয়ে হাজির স্বামী, হাতেনাতে ধরে যা করলেন ...
আজকাল | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: একসময়ের বিবাদের জেরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আজ নতুন নয়৷ সম্প্রতি একটি হোটেলের ঘরে নিজের স্ত্রী'কে এক অপরিচিত পুরুষের সঙ্গে দেখে ফেললেন এক ব্যক্তি। সামাজিক মাধ্যমে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে হইচই পড়ে গিয়েছে। একদিকে ভিডিওটি ঘিরে যেমন সহানুভূতি দেখা গিয়েছে তেমনই অন্যদিকে তীব্র নিন্দার ঝড় নেটিজনদের।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে ওই ব্যক্তি চূড়ান্ত অসহায় বোধ করছেন। ভিডিওটিতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "আমার সব শেষ হয়ে গেছে"। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে ব্যক্তির নাম রাকেশ। ওই মুহূর্তে তিনি মানসিকভাবে অত্যন্ত বিপর্যস্ত ছিলেন। জানা গিয়েছে যে রাকেশ একটি বন্ধুকে তাঁর নিজের ফোন দিয়ে হোটেলের রিসেপশনে গিয়ে ঘরের নম্বর জিজ্ঞেস করেন৷ এরপর রিসেপশন থেকে ঘরের নম্বর যাচাই করে রাকেশ একদল লোক নিয়ে ঘরের সামনে গিয়ে দরজা ধাক্কাতে থাকেন।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেতর থেকে দরজা খোলা হয়। দরজা খুলতেই রাকেশ তাঁর স্ত্রী'কে অপর এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখতে পান। এহেন দৃশ্য দেখে রাকেশ সেই মুহূর্তে চিৎকার করে উঠে বলেন, " লাইট জ্বালাও লাইট জ্বালাও সবাই দেখুক। " স্ত্রী কথা বলতে চাইলে রাকেশ আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ততক্ষণে স্ত্রী'এর সঙ্গে থাকা ওই ব্যক্তি জুতো পরছেন৷ তাঁকে ঘিরে ধরে একদল লোক৷ স্বামী স্ত্রীর কথোপকথন শুরু হতেই পরিস্থিতি আরও বেসামাল হয়ে ওঠে। রাকেশের স্ত্রী রাকেশের সঙ্গে কথা বলতে গেলে রাকেশ বলে ওঠেন, "পুলিশ ডাকো।"
পরবর্তীতে সংবাদ মাধ্যমে রাকেশ জানান দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবৎ পরকীয়ায় লিপ্ত। তাঁর প্রতিরোধ করলে উল্টে স্ত্রী তাঁর স্বামী রাকেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। খবর অনুযায়ী, দম্পতির তিন বছর বয়সি একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে, যার হেফাজত বর্তমানে তার মায়ের কাছে। এমনকী পারিবারিক আদালতে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল।
রাকেশের অভিযোগ এখানেই থেমে থাকে নি। তিনি আরও জানান, তাঁর স্ত্রীয়ের প্রেমিক এক সরকারি হাসপাতালে ওষুধের দোকান চালান। তাঁর প্ররোচনায় স্ত্রী রাকেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যান।
রাকেশ বলেন, "আমি চারিদিক থেকে অসহায় হয়ে পড়েছি। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি। ভেঙে আছি। এমনকী বহুবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছি৷ "
২৪ শে সেপ্টেম্বর এই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ পায়। ভিডিওটি প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেটিজেনদের মন্তব্যের ঝড় বয়ে যায়। ইতিমধ্যে ভিডিওটি ৫৩ হাজার ভিউ ছাড়িয়েছে। নেটিজেনদের একাংশ যেমন রাকেশের প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন, তেমনই অন্যদিকে এহেন ব্যক্তিগত ঘটনা জনসমক্ষে নিয়ে আসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন।
ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে এক ব্যবহারকারী বলেন,"কী হয়ে যাচ্ছে আমাদের এই দেশ? " আর একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করে বলেন, "ধরা পড়ার পরেও এত আত্মবিশ্বাস কী করে?"
যদিও এই ঘটনার জন্য অনেকেই দুপক্ষকেই সমান দায়ী করেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন এমন কুৎসিত পারিবারিক ঘটনা জনসমক্ষে টেনে আনা ঠিক নয়। একসময়ের ব্যক্তিগত বিবাদ এখন হয়ে উঠেছে জিন্দ সহ সারা রাজ্যের এক বৃহত্তর সামাজিক বিতর্ক।