ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা, মিলবে না জামিন! এখন কোথায় আছেন ‘বাস্তবের র্যাঞ্চো’?
প্রতিদিন | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখের বিদ্রোহী নেতা সোনম ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্র। কোনওভাবেই যাতে তাঁকে কেন্দ্র করে লাদাখে নতুন করে অশান্তি ছড়াতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লেহ থেকে প্রায় ১৪০০ কিলোমিটার দূরে যোধপুরে। এমনটাই খবর প্রশাসন সূত্রে।
লাদাখে ‘গণবিক্ষোভে’র ২ দিন পর শুক্রবার আন্দোলনের প্রধান মুখ পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের উসকানি এবং হিংসায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা ছিল সোনমের। সেই সাংবাদিক সম্মেলনের ঠিক পাঁচ মিনিট আগে তিনি গ্রেপ্তার হন। সূত্রের খবর, গ্রেপ্তারির পরই সোনমকে লাদাখ থেকে সরিয়ে রাতারাতি নিয়ে যাওয়া হয় লেহ থেকে ১৪০০ কিলোমিটার দূরে রাজস্থানের যোধপুরে।
সোনমের গ্রেপ্তারির পর লেহ-তে যাতে অশান্তি না ছড়ায় সেটা নিশ্চিত করতে শহরের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কড়া পুলিশি প্রহরায় রাখা হয়েছে গোটা শহরকে। জমায়েতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এদিকে ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই আইনে সরকার স্রেফ সন্দেহের বশে সন্দেহভাজনকে দিনের পর দিন আটকে রাখতে পারে। মেলে না জামিনও। সোনমের সঙ্গেও তেমনটা হতে পারে বলে তাঁর অনুগামীদের আশঙ্কা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘বহু নেতা সোনমকে অনশন প্রত্যাহারের আহ্বান জানালেও তিনি তা শোনেননি। আরব বসন্তের কায়দায় বিক্ষোভে উসকানি দিয়ে গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, নেপালের জেন জি আন্দোলনের উল্লেখ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছিল, ‘সোনমের উসকানিমূলক বক্তৃতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে একদল জনতা অনশনস্থল ত্যাগ করে হিংসাত্মক আন্দোলনে যোগ দেন। একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের পাশাপাশি লেহ-এর সরকারি দপ্তরেও হামলা চালানো হয়েছে। এটা স্পষ্ট যে, সোনমের উসকানিমূলক মন্তব্যের কারণেই জনতা প্রভাবিত হয়েছেন।’ উল্লেখ্য, সোনমের শিক্ষামূলক সংস্থার বিদেশি তহবিল গ্রহণের অনুমোদন ইতিমমধ্যেই বাতিল করেছে কেন্দ্র।