বাড়ি থেকে টাকা চুরি! ১৩ বছরের মেয়ের কীর্তি জেনেই 'কড়া শাস্তি' বাবার, উদ্ধার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর নিথর দেহ ...
আজকাল | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়ি থেকে প্রায়ই গায়েব কয়েকশো টাকা। যা ঘিরে পারিবারিক অশান্তি চরমে। খতিয়ে দেখা যায়, বাড়ি থেকে চুপিচুপি টাকা চুরি করত সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। বিষয়টি জানাজানি হতেই মেয়েকে কড়া শাস্তি দিল বাবা। মেয়ের শ্বাসরোধ করে খুন করল সে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বুলান্দশহরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিচাউলা গ্রামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগে তার বাবাকে আটক করা হয়েছে। বাড়ি থেকে টাকা চুরির জন্য ১৩ বছরের মেয়েকে ৪০ বছর বয়সি যুবক শ্বাসরোধ করে খুন করেছে।
শুক্রবার বিকেল চারটে নাগাদ অনুপশহর থানার পুলিশের কাছে খবর যায়, ওই এলাকায় একটি ব্রিজের নীচে ঝোঁপের মধ্যে স্কুল ইউনিফর্ম পরা এক কিশোরীর নিথর দেহ পাওয়া গেছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তড়িঘড়ি করে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পাশাপাশি জোরকদমে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বৃহস্পতিবার স্কুলে গিয়েছিল সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী। তাকে স্কুল থেকে আনতে যায় তার বাবাই। পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত যুবক জানায়, স্কুল থেকে বেরোনোর পর মেয়েকে নিয়ে সে তার জমিতে যায়। সেখানে গলায় ওড়না জড়িয়ে মেয়েকে খুন করে। এরপর দেহটি ঝোঁপের মধ্যে ফেলে চলে যায়। সেই জমি থেকেই ছাত্রীর স্কুল ব্যাগ পাওয়া গেছে।
মেয়েকে খুনের পর অভিযুক্ত যুবক স্কুলে জানায়, সে কিছুদিনের জন্য আত্মীয়ের বাড়িতে গেছে। চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে বাড়ি ফিরবে না। পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত যুবক জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই মেয়ে বাড়ি থেকে টাকা চুরি করছিল। যা ঘিরে পরিবারে অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। এই কারণেই মেয়েকে নিশ্চুপে খুন করে সে।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে আরও একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। তিন বছরের কোলের মেয়েকে ঘুমপাড়ানি গান শুনিয়েছিল মা। মেয়ে ঘুমিয়ে পড়তেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হল। ঘুমন্ত শিশুকে কোলে নিয়ে লেকের ধারে ঘুরতে চলে যান। এরপর সেই ঘুমন্ত শিশুকন্যাকে ভাসিয়ে দেন লেকের জলে। লেকে ডুবে শেষ হয়ে গেল তিন বছরের শিশুটি। এরপরই ঘাতক মা বললেন, তাঁর শিশুকন্যা নিখোঁজ!
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের আজমেরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক তরুণীর স্বামীর সঙ্গে থাকেন না। আজমেরে প্রেমিকের সঙ্গে থাকতেন। তাঁর সঙ্গেই থাকতে তিনি বছরের মেয়ে। কিন্তু প্রেমিক তাঁর মেয়েকে পছন্দ করতেন না। বারবার সন্তানকে নিয়ে খোঁটা দিতেন। এই পরিস্থিতিতে রাগের মাথায় মেয়েকে খুনের পরিকল্পনা করেন তরুণী।
পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে ওই লেকের ধারে যুগলকে দেখা গেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অঞ্জলি নামের তরুণী জানান, তিনি বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু মাঝপথে মেয়েকে আর খুঁজে পাচ্ছেন না। বহু খোঁজাখুঁজির পরেও মেয়ের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানিয়েছে, ওই রাতেই তরুণীর কোলে তাঁর মেয়েকে দেখা গিয়েছিল। মেয়েকে নিয়ে তিনি লেকের ধারেও যান। এরপর রাত দেড়টা নাগাদ মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে তরুণীকে। তখনই সন্দেহ হয় পুলিশের। বুধবার সকালে লেকের ধারে শিশুকন্যার নিথর দেহ দেখতে পায় পুলিশ। দীর্ঘ জেরার পর তরুণী কান্নায় ভেঙে পড়ে জানান, তিনিই ওই লেকে সন্তানকে ভাসিয়ে দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বর্তমানে অঞ্জলি পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ঘটনার দিন রাত দুটো নাগাদ আকাশ নামের তাঁর প্রেমিককে সন্তানের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি জানিয়েছিলেন। এই ঘটনায় আকাশ জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।