টিয়াপাখি ধরার জন্য ছোটাছুটি, হঠাৎ উপড়ে পড়ল আস্ত নারকেল গাছ, বাড়ির সামনে চাপা পড়ে মর্মান্তিক পরিণতি নাবালকের ...
আজকাল | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়ির পাশেই টিয়াপাখি ধরার জন্য ছোটাছুটি করছিল ১২ বছরের এক নাবালক। আচমকাই তার উপর উপড়ে পড়ে এক আস্ত নারকেল গাছ। গাছের তলায় চাপা পড়ে বাড়ির সামনেই মর্মান্তিক পরিণতি হল নাবালকের। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কেরলে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতের নাম মহম্মদ সিনান। আলুভার বাসিন্দা ছিল সে। রবিবার বিকেলে বাড়ির কাছে সিনান আরও চার বন্ধুর সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। খেলতে খেলতে তারা দেখে একটি শুকনো নারকেল গাছে টিয়াপাখি বসে আছে।
সেই টিয়াপাখি ধরার জন্য গাছটি ফেলার চেষ্টা করছিল বন্ধুরা। তখনই নারকেল গাছটি উপড়ে পড়ে সিনানের উপর। গুরুতর আহত হয় সে। হাসপাতালে তড়িঘড়ি করে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। সেখানেই মৃত্যু হয় নাবালকের। স্থানীয় এক সপ্তাহ শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারপরেই পরিবারের হাতে স্থানান্তরিত করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই আরও এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল অন্ধ্রপ্রদেশে। স্কুলের মধ্যে বিড়াল ধরার জন্য ছোটাছুটি করছিল দেড় বছরের শিশুকন্যা। বিড়ালের পিছু নিতে গিয়ে সোজা ঢুকে পড়ে স্কুলের রান্নাঘরে। দৌড়তে দৌড়তে হঠাৎ পা ফসকে উল্টে পড়ে ফুটন্ত দুধের পাত্রে। দগ্ধ অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়াইয়ের তিনদিন পর হার মানল সে। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে শিশুকন্যার।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুরম জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোরাপাদু গ্রামের এক গুরুকুল স্কুলে ফুটন্ত দুধের পাত্রে অসাবধানতাবশত পড়ে গিয়েছিল ১৬ মাসের এক শিশুকন্যা। দগ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ সেপ্টেম্বর। দেড় বছরের শিশুকন্যা স্কুলেই একটি বিড়াল ধরার জন্য ছোটাছুটি করছিল। দৌড়তে দৌড়তে স্কুলের রান্নাঘরে ঢুকেই ফুটন্ত দুধের পাত্রে অসাবধানতাবশত পড়ে যায়। দগ্ধ অবস্থায় তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে তার।
পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, দেড় বছরের শিশুকন্যা গোটা শরীর পুড়ে গিয়েছিল। তার মা স্কুলে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করেন। কফি তৈরি করার জন্য স্কুলের রান্নাঘরে যাচ্ছিলেন। সেই সময় মেয়ের কান্নার আওয়াজ পান। ছুটে গিয়েই দেখেন ফুটন্ত দুধের পাত্রে মেয়ে পড়ে গেছে। ঠান্ডা জল ঢেলেই প্রথমে তাকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতেই অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছিল তাকে। এই ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৯৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।