• কলকাতায় একাধিক মাতৃপ্রতিমার সোনার গয়না রক্ষায় লালবাজার
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • কলকাতায় গত কয়েক বছর ধরেই থিমের পুজো জমজমাট। মণ্ডপ সজ্জা এবং প্রতিমাকে সাজাতে কোনও কসুর রাখে না পুজো কর্তৃপক্ষ। উত্তর থেকে দক্ষিণ বিগ বাজেটের পুজো অনেকগুলো। ১৩টি পুজো মণ্ডপে দেবীকে সোনার গয়নায় সাজিয়ে তোলা হয়। দর্শনার্থীদের ভিড়ে গমগম করে মণ্ডপ। এত গয়না পাহারা দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ। ওই ১৩টি মণ্ডপের মধ্যে ১১টি মণ্ডপে দু’জন করে রাইফেলধারী পুলিশকর্মী মোতায়েন করেছে লালবাজার। বাকি দু’টিতে আরও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।

    বোধনের আগেই সোনার গয়নায় সেজে ওঠেন মা। মণ্ডপগুলিতে গেলেই দূর থেকেই প্রতিমার দিকে তাকালে সোনার গয়নায় চোখ জুড়িয়ে যায়। ওই গয়না হিসাব করে পরানো হয় দুর্গাপ্রতিমাকে। বিসর্জনের আগে ওই গয়না খুলে নিজেদের হেফাজতে রেখে দেন পুজো কমিটি। গয়না রক্ষা করার ব‌্যবস্থা করেন পুজো কমিটিগুলি। সেই সঙ্গে পুলিশেরও সাহায্য নেওয়া হয়।

    লালবাজার সূত্রের খবর, ১৩টি মণ্ডপের মধ্যে ১১টি মণ্ডপে দু’জন করে রাইফেলধারী পুলিশকর্মীকে রাখা হয়। তাঁদের মূল কাজ দুর্গা প্রতিমার সোনা ও রুপোর গয়না পাহারা দেওয়া। মধ‌্য কলকাতার মুচিপাড়া এলাকার একটি পুজো মণ্ডপে গয়না পাহারা দেন সার্ভিস পিস্তল নিয়ে দু’জন পুলিশ অফিসার ও রাইফেলধারী দু’জন পুলিশকর্মী।

    বেনিয়াপুকুর এলাকার একটি পুজো মণ্ডপে দু’জন রাইফেলধারী পুলিশকর্মী থাকেন প্রতিমার গয়না পাহারার দায়িত্বে। অনেক জায়গাতেই অল্প সময়ের জন্য প্রতিমাকে গয়না পরানো হয়। কিন্তু যতক্ষণ মায়ের গায়ে গয়না থাকে, ততক্ষণই থাকবে পুলিশের পাহারা। অস্ত্র নিয়ে পাহারা দেওয়া ছাড়াও যাতে বহিরাগত অথবা কোনও দর্শনার্থী প্রতিমার খুব কাছে না যান, সেদিকেও নজর রাখেন ওই পুলিশকর্মী ও আধিকারিকরা। লালবাজারের অনুরোধে ওই ১৩টি মণ্ডপেই লাগানো হয়েছে পর্যাপ্ত সংখ‌্যক সিসিটিভির ক‌্যামেরা।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)