• প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ চায়, আর্জিতে কোর্টে টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থীরা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ অক্টোবর ২০২৫
  • প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় সুযোগের দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন ২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে তাঁদের তরফে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার শুনানি হতে পারে আগামীকাল ৩ অক্টোবর।


    সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ১৩,৪২১টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, দুর্গাপুজো শেষ হলেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু, ঠিক এই সময়েই টেট অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের একাংশ আদালতে গিয়ে আবেদন জানান, হয় তাঁদেরও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক, নইলে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখা হোক।প্রার্থীদের অভিযোগ, ২০১৭ ও ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় মোট ৪৭টি প্রশ্ন ভুল ছিল। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হাইকোর্ট এর আগে তিন সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল। প্রথমে কলকাতা ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে সেই কমিটি তৈরি হলেও, পরবর্তীতে মতানৈক্যের কারণে নতুন করে প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের উপর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

    আদালত জানিয়েছিল, বাংলা, ইংরেজি ও চাইল্ড সাইকোলজি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হবে। কিন্তু আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এখনও সেই কমিটির রিপোর্ট জমা পড়েনি। ফলে প্রার্থীরা দাবি করছেন, মাত্র এক-দু’নম্বরের জন্য তাঁরা অনুত্তীর্ণ হয়েছেন, অথচ রিপোর্ট জমা পড়লে অনেকেই উত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য হতেন। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে তাঁরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন।

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই সমস্যায় পড়েছেন এই দুই বছরের টেট পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের বক্তব্য, আদালতের নির্দেশে গঠিত কমিটির রিপোর্ট জমা না-পড়ার দায় তাঁদের নয়। তবু সেই কারণে নিয়োগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়া অন্যায়। তাই তাঁরা অবকাশকালীন বেঞ্চে মামলা করে সুযোগ চেয়েছেন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)