কোটি টাকা মূল্যের নেশাজাতীয় কাফ সিরাপ উদ্ধার অসমের চুরাইবাড়িতে! পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন...
আজকাল | ০৬ অক্টোবর ২০২৫
নিতাই দে, আগরতলা: নতুন কায়দায় করতে গিয়ে ফের আটক পুলিশের জালে। অসমের শ্রীভূমি জেলার চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোস্টে আটক হওয়া এক ট্রাক থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ ESKUF নামক কাফ সিরাপ। ঘটনাটিকে ঘিরে একের পর এক প্রশ্ন উঠেছে। আটক হওয়ার দুই দিন পর কেন ট্রাকটি সিজ করা হয়েছে বলে দেখানোয় হল, তা নিয়েই রহস্য আরও গভীর হচ্ছে।
গত শুক্রবার রাত আনুমানিক পৌনে বারোটার সময় পশ্চিমবঙ্গ থেকে ত্রিপুরাগামী WB-23-D-7176 নম্বরের একটি বারো চাকার লরি চুরাইবাড়ি ওয়াচ পোস্টে পৌঁছায়। কর্তব্যরত অসম পুলিশ গাড়িটি থামিয়ে তল্লাশি চালায়। প্রথমে ট্রাকটি পিচ বোঝাই বলে দাবি করা হলেও, গাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় আসল রহস্যের খোঁজ মেলে। বিটুমিনের ড্রামের আড়ালে মজুত ছিল বিপুল পরিমাণ নেশাজাতীয় কফ সিরাপ ESKUF।
অসম পুলিশ জানিয়েছে, ১৪৪টি কার্টুন থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৬০০ বোতল সিরাপ। প্রতিটি কার্টুনে ছিল ১৫০টি বোতল করে। এর বাজারমূল্য আনুমানিক এক কোটি আট লক্ষ টাকা।
ট্রাকের চালক সৈয়দ আফ্রিদিকে আটক করেছে পুলিশ। সে জানিয়েছে, মাত্র বারো হাজার টাকার বিনিময়ে মালদা থেকে মাল বহন করছিল, পণ্যটির প্রকৃত মালিক সম্পর্কে কিছুই জানেন না। শুক্রবার রাতে ট্রাক আটক হলেও, রবিবার সকালে এসে তল্লাশি ও সিজ দেখানোয় উঠছে বড় প্রশ্ন।
সূত্রের দাবি, ওই দুই রাতের মধ্যে ট্রাক থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কফ সিরাপ রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, ওই রাতে সীমান্ত এলাকায় সন্দেহজনকভাবে চক্কর কাটছিল দু'টি AS নম্বরের ওয়াগনার গাড়ি। ফলে জল্পনা বাড়ছে - এই গাড়িগুলোর সঙ্গে কি পুলিশের ভেতরের কেউ যুক্ত? জনসাধারণের মধ্যে প্রশ্ন একটি রক্ষকই যদি ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়, তবে নেশা ব্যবসা রোধ হবে কীভাবে?অসম পুলিশের অভ্যন্তরেই নাকি শুরু হয়েছে ঠান্ডা যুদ্ধ।
এদিকে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি - ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত হোক, দোষীরা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, তাদের যেন আইনের আওতায় আনা হয়।