• পার্টিতে দেদার মদ্যপান, হোটেলের ঘরে কাছের বন্ধুর যৌন লালসার শিকার ডাক্তারি পড়ুয়া, ভয়াবহ ঘটনা দিল্লিতে ...
    আজকাল | ০৬ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: লাগাতার ধর্ষণের শিকার ১৮ বছর বয়সি এক ডাক্তারি পড়ুয়া। তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের বিরুদ্ধে। হোটেলের ঘরে ধর্ষণের সময় ভিডিও রেকর্ড করেছিল অভিযুক্তরা। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ব্ল্যাকমেল করেছিল তাঁকে। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির আদর্শ নগর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিতা ডাক্তারি পড়ুয়া জানিয়েছেন, তাঁকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেই মুহূর্তের ভিডিও রেকর্ড করে। আবারও শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য জোরাজুরি করতে শুরু করে। রাজি না হলে সেই ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকিও দিত। 

    অভিযোগ দায়ের করার পর থেকেই অভিযুক্ত তরুণ পলাতক। তার খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতা ডাক্তারি পড়ুয়া আদতে হরিয়ানার ঝিন্দের বাসিন্দা। পড়াশোনার জন্য দিল্লিতে একটি হস্টেলে থাকেন। অভিযুক্ত তরুণও হরিয়ানার ঝিন্দের বাসিন্দা। নির্যাতিতা ও অভিযুক্ত এক এলাকার বাসিন্দা বলেই জানা গেছে। 

    ঘটনাটি ঘটেছে ৯ সেপ্টেম্বর। ডাক্তারি পড়ুয়া সেদিন ওই হোটেলে পার্টিতে গিয়েছিলেন। সেই পার্টিতে ছিল তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সেখানে দেদার মদ্যপানের পর তরুণীকে ধর্ষণ করে ওই তরুণ। ধর্ষণের সময় ভিডিও, ছবি ক্যামেরাবন্দি করে। এরপর এক মাস ধরে তাকে ব্ল্যাকমেল করত। আবারও শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেও জোর করত। অবশেষে পরিবারে ঘটনাটি জানায় তরুণী। গত বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে থানায় অভিযোগ জানান তিনি। এরপরই জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই দিল্লির গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতাল থেকে এক অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই কলেজের এক এমবিবিএস পড়ুয়াকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ওই ডাক্তারি পড়ুয়া পুলিশে অভিযোগ জানান, দিলশাদ গার্ডেনের গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালের এক অধ্যাপক দিনের পর দিন যৌন হেনস্থা করেন তাঁকে। 

    এর আগে একের পর এক ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার উঠেছিল এই রাজ্যেই। কখনও হোয়াটসঅ্যাপে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ অশ্লীল মেসেজ। কখনও প্রকাশ্যে গালিগালাজ। কখনও আবার জোর করে সঙ্গম। লাগাতার শ্লীলতাহানির শিকার হয়ে অবশেষে থানায় ছুটলেন ১৭ জন ছাত্রী। শহরের জনপ্রিয় আশ্রমের প্রধানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁরা।

    খাস রাজধানীতে এক জনপ্রিয় আশ্রমের প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছিলেন একাধিক মহিলা। দিল্লির বসন্ত কুঞ্জ এলাকার জনপ্রিয় আশ্রমের ডিরেক্টর এই 'বাবা'। তাঁর বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১৭ জন মহিলা শ্লীলতাহানি ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, স্বামী চৈতন্যনন্দ সরস্বতী ওরফে পার্থসারথি শ্রী সারদা ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্টের প্রধান। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক তরুণীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ওই ইনস্টিটিউটে আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের তরুণীরা ভর্তি হয়েছিলেন পোস্ট গ্রাজুয়েটের জন্য। 

    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩২ জন তরুণী ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছেন পুলিশের কাছে। যাদের মধ্যে ১৭ জন তরুণীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। তরুণীদের অভিযোগ, স্বামী চৈতন্যনন্দ সরস্বতী প্রায়ই অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন। কটুক্তি করতেন তরুণীদের। নিত্যদিন অশ্লীল ভিডিও ও মেসেজ পাঠাতেন ফোনে। পাশাপাশি শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্যেও জোরাজুরি করতেন। 

    তরুণীদের অভিযোগ, একাধিকবার অভিযুক্ত পার্থসারথির বিরুদ্ধে ইনস্টিটিউটের মহিলা শিক্ষা কর্মীদের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরাও স্বামী চৈতন্যনন্দ সরস্বতীর দাবি মেনে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। অবশেষে থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় ছাত্রীরা। গত সপ্তাহেই আগ্রা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 
  • Link to this news (আজকাল)