• স্থানীয়দের বিক্ষোভ, মাথা ফাটল বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর, ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হল বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে ...
    আজকাল | ০৬ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বন্যার জেরে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের বামনডাঙা চা বাগানে গিয়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও গেরুয়া শিবিরের আরেক বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বিক্ষোভ চলাকালীন খগেন মুর্মুর মাথা ফেটে যায়। সেই সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় শঙ্কর ঘোষকে। বাসিন্দাদের বলতে শোনা যায়, পাঁচ বছর পর আজ কেন খোঁজ নিতে এসেছেন। চিকিৎসার জন্য দ্রুত সাংসদকে নিয়ে এলাকা ছাড়েন শঙ্কর। 

    জানা গিয়েছে, এদিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাওয়ার পরেই স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ ও বিধায়ক। প্রথমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও তাঁদের সেই প্রয়াস কাজে আসেনি। ধীরে ধীরে ভিড় বাড়তে থাকে‌। মারমুখী হয়ে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা‌। এমনকী তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ শঙ্কর ঘোষকে জুতো নিয়ে তেড়ে যান বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে দুই নেতাই গাড়িতে উঠে পড়েন। 

    কিন্তু জনতার ক্ষোভ তাতেও প্রশমিত হয়নি। তাঁদের বলতে শোনা যায়, 'সারাবছর না এসে এখন কেন এসেছেন?' সেইসঙ্গে তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে উড়ে আসতে থাকে ইট ও পাথর। দুই নেতার সঙ্গের দেহরক্ষীরা আটকানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। জানা গিয়েছে, এর মধ্যেই একটি ইট এসে লাগে সাংসদ খগেন মুর্মুর মাথায়।‌ সঙ্গে সঙ্গে মাথা ফেটে গিয়ে ঝরঝর করে রক্ত বেরোতে থাকে। ভেঙে যায় গাড়ির কাঁচ। আহত খগেন মুর্মুকে নিয়ে যাওয়া হয় চালসা মঙ্গলবাড়ির একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শিলিগুড়িতে। 

    গোটা ঘটনার জন্য বিজেপির তরফে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে আঙুল তোলা হলেও ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। জেলা তৃণমূল নেত্রী মহুয়া গোপ বলেন, 'রবিবার এই জেলায় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তা নিয়ে বিজেপির সাংসদ বা বিধায়করা কেউ আসেননি। আজ কারা রাজনীতি করতে এসেছেন সেটা মানুষ বুঝতে পেরেছেন।' 

    অন্যদিকে সাংসদ ও বিধায়কের উপর হামলায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগ ওঠায় দলের প্রাক্তন সাংসদ ও নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, 'এটা নিয়ে একটা বিকৃত প্রচার চলছে। দল কোনও অবস্থাতেই এই ধরনের হামলা সমর্থন করে না। কিন্তু এদিনের ঘটনা বিজেপি নেতাদের কর্মফল। তাঁরা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। মানুষের উন্নয়নে বাধা দেয়। যেখানে তৃণমূল কর্মীরা দুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণের কাজে ব্যস্ত সেখানে বিজেপির নেতারা গিয়েছিলেন ছবি তুলতে। তাঁরা কিন্তু ত্রাণের কাজে যাননি। ফলে সেখানকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফলে তৃণমূল করিয়েছে বলে যেটা বলা হচ্ছে তার কোনও সারবত্তা নেই।'
  • Link to this news (আজকাল)