নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: বিপর্যয়ের জেরে বন্ধ লক্ষ্মীর আরাধনা। জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ দুর্গত এলাকায় এবার লক্ষ্মীপুজো হচ্ছে না। জলবন্দি বাসিন্দারা এখন মাথাগোঁজার ঠাঁই খুঁজতে মরিয়া। ফলে এবছর লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করতে পারছেন না অনেকেই। কেউ কেউ আবার ফুলে জলে মা লক্ষ্মীর পুজো সারতে চাইছেন। দুর্গতদের আক্ষেপ, ঘরে জল ঢুকে সবটাই তছনছ করে দিয়েছে। ভেসে গিয়েছে গৃহস্থলীর জিনিসপত্র থেকে গবাদি এমনকী লক্ষ্মীর আসন। তাছাড়া হাতে টাকাপয়সা নেই। ফলে এবার লক্ষ্মীপুজো করা সম্ভব নয়। এতে অবশ্য মন খারাপ দুর্গতদের। তাঁদের কথায়, ঘরে ঘরে আলপনা, শঙ্খ - উলুধ্বনিতে মা লক্ষ্মীকে বরণ করে নিতেন তাঁরা। কিন্তু নিজেরা কোথায় রাত কাটাবেন, কী খাবেন এখন সেই চিন্তাতেই ব্যস্ত তাঁরা। দুর্যোগের জেরে মাথায় হাত প্রতিমা শিল্পী থেকে ব্যবসায়ীদের। কারণ, বাজারে লক্ষ্মী প্রতিমা ও পুজোর উপকরণ থাকলেও তা সেভাবে বিক্রি হচ্ছে না। অনেকের আবার বক্তব্য, বিপর্যয়কে সামনে রেখে পুজোর ফলমূলের দাম অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।যদিও একটু হলেও স্বস্তির খবর, ধূপগুড়ির গধেয়ারকুঠিতে জলঢাকা নদীতে কিছুটা জল নেমেছে। জলস্তর খানিকটা কমেছে তিস্তায়। তবে বৃষ্টি চলায় দুশ্চিন্তা কাটছে না। জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া সুকান্তনগর, বিবেকানন্দপল্লির বাসিন্দারা রবিবার অনেকেই ঘর ছেড়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁদের ঘরের মধ্যে কোমর সমান জল হয়ে গিয়েছিল। এদিন সকালে সেই জল নেমেছে। তবে জল নামলেও ঘরময় কাদা। ঘরদোর তছনছ। আজ সকাল থেকে সুকান্তনগর এলাকার দুর্গতদের কেউ কেউ বাঁধের আশ্রয় ছেড়ে আবার ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে এই পরিস্থিতিতে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা।