অনলাইনে কুড়ুল আর কন্ডোম অর্ডার! নববধূর কেনাকাটা দেখে সন্দেহ, কেচ্ছা ফাঁস হতেই মাথায় হাত পরিবারের ...
আজকাল | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের পরেই স্ত্রীর আচরণে সন্লদেহ স্বামীর। অনলাইনে কুড়ুল ও কন্ডোম অর্ডার করেছিলেন নববধূ। কিন্তু কেন? তা জানতেই খতিয়ে দেখতে শুরু করেন। শেষমেশ নববধূর কেচ্ছা ফাঁস হতেই শিউরে উঠলেন স্বামী। কোনও মতে প্রাণ বাঁচল তাঁর।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুভম নামের এক যুবক আচমকাই তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর আচরণে সন্দেহ করেন। অনলাইনে স্ত্রী যা কেনাকাটা করেন, তাতেই সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। সম্প্রতি ওই নববধূ অনলাইনে কুড়ুল ও কন্ডোম অর্ডার করেছিলেন। এরপরই এক ডিক্টেটিভ ভাড়া করেন তিনি। স্ত্রীর উপর নজর রাখার নির্দেশ দেন ওই ডিক্টেটিভকে।
দিন কয়েক পরেই শুভমের স্ত্রীর পিছু নিয়ে তপোবন নামের এক হোটেলে পৌঁছন ওই ডিক্টেটিভ। সেখানে পৌঁছেই নববধূর কেচ্ছা ফাঁস হয়। জানা যায়, বিয়ের পর ওই হোটেলে গিয়ে এক যুবকের সঙ্গে চুপিচুপি দেখা করেন নববধূ। বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা হতেই নববধূ স্বীকার করেন, তিনি আর শুভমের সঙ্গে থাকতে চান না। নতুন প্রেমিকের সঙ্গেই থাকতে চান।
বিষয়টি ঘিরে হোটেলের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। অনেকেরই সন্দেহ হয়, হোটেলের ঘরে প্রেমিকের সঙ্গে নববধূ উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠতেই কন্ডোম অর্ডার করেছিলেন। পাশাপাশি স্বামীকেও খুনের পরিকল্পনা ছিল। সেই কারণেই কুড়ুল অর্ডার করেন। বিয়ের মাস কয়েক পরেই নববধূর এহেন কাণ্ডে মাথায় হাত পরিবারের। শেষমেশ শুভমের প্রাণ বেঁচে যাওয়ায়, খানিকটা স্বস্তিতে তাঁরা।
প্রসঙ্গত, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে আরও একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এবার পিসি ও ভাইপোর মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে মর্মান্তিক পরিণতি হল এক প্রৌঢ়ের। দুজনের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে পেরেছিলেন তিনি। এর জেরেই নিত্যদিন অশান্তি হত। পথের কাঁটা স্বামীকে চিরতরে সরাতে পিসি ও ভাইপো মিলে খুনের পরিকল্পনা করে। অবশেষে নৃশংসভাবে খুন করে তাকে। দেহ দশ মাস ধরে লুকিয়ে রাখার পরেও শেষরক্ষা হল না।
দশ মাস পর বাড়ির উঠোন থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির কঙ্কাল। দশ মাস আগে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল ওই ব্যক্তিকে। কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করার পর ব্যক্তির দেহ বাড়ির পিছনের জমিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে খুনের অভিযোগে রবিবার স্ত্রী ও প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ঘাতক স্ত্রী ও তার ভাইপোর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টিও ফাঁস করেছে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। পুলিশি জেরায় লক্ষ্মী কয়েক মাস ধরেই জানিয়েছিল, দশ মাস আগে কাজের সূত্রে গুজরাটে গিয়েছিলেন শিববীর সিং (৫০)। তারপর আর বাড়ি ফিরে আসেননি। তাঁর মা সাবিত্রী দেবী বারবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তখন থেকেই ছেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি সাবিত্রী দেবী। ফোনটি বন্ধ ছিল। ছেলের তরফে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন মা।
এরপর সাবিত্রী দেবীর সন্দেহ গাঢ় হতে থাকে। দীর্ঘ কয়েক মাস পর গত ১৯ আগস্ট থানায় শিববীরের নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন তিনি। এরপর লক্ষ্মী ও তার ভাইপো অমিত সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। দীর্ঘ জেরায় দুজনেই স্বীকার করে, তারা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত ছিল। দুজনে মিলেই শিববীরকে খুন করে। শনিবার লক্ষ্মী ও অমিতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গত দশ মাস ধরেই খুনের ঘটনাটি লুকানোর জন্য নানা ফন্দি করেছিল দুই অভিযুক্ত। বিষয়টি চেপে রাখার জন্য নানা গল্প ফেঁদেছিল। অবশেষে টানা জেরায় দুজনেই ভেঙে পড়ে। এবং একসঙ্গে খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নেয়। জানা গেছে, মাদক মেশানো চা খাইয়ে শিববীরকে অজ্ঞান করেছিল স্ত্রী লক্ষ্মী। এরপর কুড়ুল দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে অমিত।
শিববীরের মৃত্যু নিশ্চিত করতে এরপর ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে লক্ষ্মী। খুনের পর দেহ বাড়ির পিছনে জমিতে পুঁতে দিয়েছিল তারা। দশ মাস পর সেই মাটি খুঁড়ে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। কঙ্কালের পাশাপাশি একটি লকেট পাওয়া গেছে। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, এই লকেটটি শিববীরের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাইপো অমিতের সঙ্গে লক্ষ্মীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন শিববীর। যা ঘিরে সংসারে নিত্যদিন অশান্তিও হত। প্রতিবেশীরাও চিৎকারের শব্দে টের পেয়েছিলেন। এমনকী লক্ষ্মীর ফোন ট্র্যাক করে জানা গেছে, অমিতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তার। যা থেকেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।