• ‘দৈবশক্তি ভর করেছিল’, প্রধান বিচারপতিকে জুতো ছোড়ার পরেও অনুতপ্ত নন রাকেশ, কী বললেন?
    এই সময় | ০৭ অক্টোবর ২০২৫
  • আইনজীবী রাকেশ কিশোরকে চেনেন? ৭২ বছর বয়স। সোমবার তিনিই সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইকে জুতো ছুড়ে মারার চেষ্টা করেছিলেন। তবে এই ঘটনায় রাকেশ একটুও অনুতপ্ত নন। স্পষ্ট বলে দিলেন, ‘আমি জেলে যেতে প্রস্তুত।’

    ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে রাকেশের পরিবার। জনসমক্ষে বেরতেও লজ্জা পাচ্ছেন তাঁরা। তবে রাকেশের কোনও হেলদোল নেই। হিন্দুস্তান টাইমস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘গোটা পরিবার আমার উপরে রেগে আছে। তারা বুঝতে পারছে না, কেন এমন কাজ করলাম। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নই। তবে আমি জেলে যেতে প্রস্তুত।’

    আদালতের ১ নম্বর কোর্টরুমে শুনানি চলাকালীন আচমকাই নিজের পায়ের জুতো খুলে প্রধান বিচারপতির দিকে ছুড়ে দিয়েছিলেন রাকেশ। নিরাপত্তারক্ষীরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধরে ফেলেন। প্রধান বিচারপতি গাভাই অবশ্য রাকেশকে কোনও শাস্তি দিতে চাননি। তিনি বলেন, ‘শুধু সতর্ক করে ছেড়ে দিন। আর কিছু করার দরকার নেই।’

    কেন এমন করলেন রাকেশ? তিনি বলেন, ‘আমার উপরে দৈবশক্তি ভর করেছিল।’ সম্প্রতি খাজুরাহোর জাভেরি মন্দিরে ৭ ফুটের একটি ভগ্নপ্রায় বিষ্ণুমূর্তি সংস্কার করে পুনরায় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। সেই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘যান, ভগবানকে গিয়ে বলুন।’ সেই মন্তব্য তাঁর ভাবাবেগে আঘাত করেছিল বলে দাবি করেছেন তিনি।

    রাকেশ বলেন, ‘ওই কথা শোনার পরে আমি ঘুমোতে পারিনি। ঈশ্বর যেন প্রতি রাতে এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন, এমন অপমানের পরে আমি বিশ্রাম নিচ্ছি কী করে!’ জানা গিয়েছে, রাকেশ বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে medical entomology-তে পিএইচডি করেছেন। এক সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। আইনজীবী হিসেবে অবশ্য খুব একটা সক্রিয় নন।

    কিশোরের কাছে সুপ্রিম কোর্টের বৈধ প্রবেশপত্র ছিল— Bar Council of India–এর কার্ড ও Supreme Court Bar Association (SCBA)–র অস্থায়ী সদস্যপদও রয়েছে। অবশ্য ঘটনার পরে বার কাউন্সিল তাঁর সদস্যপদ বাতিল করে দিয়েছে। কিশোর বলেন, ‘আমি চিঠি পেয়েছি। এতে আমার কিছু যায় আসে না।’

  • Link to this news (এই সময়)