তথাগত চক্রবর্তী: সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়। তারপর ফোন নম্বর দেওয়া নেওয়া। ফোনের আলাপ প্রেমে পরিণত হয়। সেই প্রেমিকের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার নবম শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রেমিক ও তার এক বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। পলাতক একজন। তার সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা। পুলিস ও পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর মহা অষ্টমীর রাতে প্রেমিকের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বের হন নির্যাতিতা। রাত্রি আটটা নাগাদ বারুইপুর শাসন বালক সংঘের ঠাকুর দেখে বেরিয়ে বারুইপুর কামালগাজি বাইপাসে যায় তারা। তারপর বারুইপুর বাইপাস থেকে প্রেমিকের বাইকে ওঠে নির্যাতিতা ঠাকুর দেখবে বলে। তখন প্রেমিক ছাড়াও আরো একটি বাইকে প্রেমিকের দুজন বন্ধু ছিল। বারুইপুর শাসন বাইপাস থেকে সোজা বাইকে করে নির্যাতিতাকে বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার বেগমপুর কাটাখাল বাইপাসে নিয়ে যায় তার প্রেমিক। সেখানে নির্যাতিতাকে কোল্ড ড্রিংকসের সঙ্গে উত্তেজনা বর্ধনকারী ট্যাবলেট খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। তারপর বেগমপুর কাটা খাল বাইপাস থেকে উত্তরভাগে যাওয়ার রাস্তা থেকে ভেতরের একটি নির্জন গলি রাস্তাতে ঢুকে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে তার প্রেমিক। এমনই অভিযোগ নির্যাতিতা ও তার পরিবারের। শুধু তাই নয় সেই সময়কার ভিডিও তুলে নির্যাতিতা নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেল করে প্রেমিকের দুই বন্ধুও ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তারপর রাতেই নির্যাতিতা নাবালিকাকে সীতাকুণ্ডুর কাছে তার আত্মীয়ের বাড়ির কাছে রেখে দিয়ে চলে যায় প্রেমিক।
পয়লা অক্টোবর নবমীর সকাল থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে নির্যাতিতা। নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনকে খবর দেয় তার আত্মীয়রা। নবমীর দুপুরে নির্যাতিতাকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবারের লোকজন। নির্যাতিতার পরিবার বারুইপুর থানায় ২ অক্টোবর অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস ও পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে মাস দেড়েক আগেই বারুইপুরের এক নাবালকের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে আলাপ হয় নির্যাতিতা নবম শ্রেণীর ছাত্রীর। তারপর একে অপরের নম্বর দেওয়া নেওয়া। আর তারপর ফোনেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠা।
গত ৩ অক্টোবর ওই নাবালক প্রেমিককে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানার পুলিস। তাকে জিজ্ঞাসা করে ৪ তারিখে তার এক বন্ধু আরমান আকুঞ্জকে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানার পুলিস। এখনো অধরা আরেক অভিযুক্ত। নাবালক প্রেমিককে জুভেনাইল আদালতে তোলে বারুইপুর থানার পুলিস। পাশাপাশি নাবালক প্রেমিকের বন্ধু আরমান আকুঞ্জকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে তৃতীয় অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে বারুইপুর থানার পুলিস। নির্যাতিতা নবম শ্রেণীর ছাত্রী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।।