• প্রেমিকের সঙ্গে অষ্টমীতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েই সর্বনাশ, উত্তেজনাবর্ধক ওষুধ খাইয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে গণধর্ষণ...
    আজকাল | ০৮ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: সমাজমাধ্যমে আলাপের পরেই জমে উঠেছিল প্রেম। মাত্র দেড় মাসের পরিচয়ে অষ্টমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেরতে রাজি হয়ে গিয়েছিল নবম শ্রেণীর ছাত্রীটি। কিন্তু তার ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না। প্রেমিক এবং তাঁর বন্ধুদের লালসার শিকার হতে হল ওই ছাত্রীটিকে। নবম শ্রেণীর পড়ুয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তের এক বন্ধুকেও। একজনকে এখনও খুঁজছে পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নির্যাতিতা বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মহাষ্টমীর রাতে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে প্রেমিক ও তাঁর দুই বন্ধুর দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয়েছে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী। গত ৩০ সেপ্টেম্বর মহাষ্টমীতে রাত ৮টা নাগাদ বারুইপুর-শাসন বালক সংঘের ঠাকুর দেখে বেরিয়ে বারুইপুর কামালগাজি বাইপাসে আসে নির্যাতিতা নবম শ্রেণীর ছাত্রীটি। মাস দেড়েক আগেই বারুইপুরের এক নাবালকের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয় নির্যাতিতা পড়ুয়ার। তারপর একে অপরের ফোন নম্বর দেওয়া-নেওয়া হয়। আর তারপর ফোনেই গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের ভরসায় অষ্টমীর রাতে বারুইপুর বাইপাস থেকে প্রেমিকের বাইকে ওঠে নির্যাতিতা ঠাকুর দেখবে বলে। তখন প্রেমিক ছাড়াও আরও একটি বাইকে প্রেমিকের দু’জন বন্ধু ছিল। সকলেই নাবালক।  বারুইপুর-শাসন বাইপাস থেকে সোজা বাইকে করে নির্যাতিতাকে বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার বেগমপুর কাটাখাল বাই পাশে নিয়ে যায় তার প্রেমিক। সেখানে নির্যাতিতাকে ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে উত্তেজনা বর্ধনকারী ওযুধ খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। তারপর বেগমপুর কাটা খাল বাইপাস থেকে উত্তরে যাওয়ার রাস্তা থেকে ভিতরের দিকে একটি নির্জন গলিতে ঢুকে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করে তার প্রেমিক, এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। সেই সময়কার ভিডিও তুলে নির্যাতিতা নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেইল করে প্রেমিকের দুই বন্ধুও ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। 

    অষ্টমীর রাতেই নির্যাতিতা নাবালিকাকে সীতাকুণ্ডুর কাছে তার আত্মীয়ের বাড়ির কাছে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় প্রেমিক। গত ১ অক্টোবর নবমীর সকাল থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন নির্যাতিতা। নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনকে খবর দেয় তার আত্মীয়রা। নবমীর দুপুরে নির্যাতিতাকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন তার পরিবারের লোকজন। 

    গত ২ অক্টোবর নির্যাতিতার পরিবার বারুইপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে। ৩ অক্টোবর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই নাবালক প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে বারুইপুর থানার পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ৪ অক্টোবর তার এক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এখনও অধরা তৃতীয় অভিযুক্ত। 

    নাবালক প্রেমিককে জুভেনাইল আদালতে তোলে বারুইপুর থানার পুলিশ। পাশাপাশি ‘প্রেমিক’-এর বন্ধুকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে তৃতীয় অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে বারুইপুর থানার পুলিশ। নির্যাতিতা নবম শ্রেণীর ছাত্রী এখনও বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।।
  • Link to this news (আজকাল)