SIR শেষের ৩ মাসের মধ্যেই বাংলায় নির্বাচন! কোলাঘাটের বৈঠকে প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ কমিশনের
প্রতিদিন | ০৯ অক্টোবর ২০২৫
সৈকত মাইতি, তমলুক: এসআইআর শেষের ৩ মাসের মধ্যে নির্বাচন! ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের জন্য জেলা প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এমনটাই খবর জেলা প্রশাসন সূত্রে। রাজারহাটে পর কোলাঘাটে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক বসে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই বৈঠকের পর স্থানীয় বিএলওদের সঙ্গেও বৈঠক করেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার কোলাঘাটের বলাকা ভবনে বৈঠকে বসে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। উপস্থিত ছিলেন উপ-নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী। ছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল। তিন জেলা প্রশাসনের ডিএম, এসপি ও অন্যান্য আধিকারিকরা। সেখানে আধিকারিকদের চূড়ান্ত প্রস্তূত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কী কী পদ্ধতিতে কাজ হবে তাও আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
এই বৈঠকের পর বিএলওদের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। সেখানে তাঁদের একাধিক প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করেছেন আধিকারিকারা। বৈঠকে আইটি নেটওয়ার্ক, বিএলও অ্যাপ কীভাবে কাজ করবে সেই সম্পর্কিত আলোচনা হয়। আজকে শুধুমাত্র আলোচনা হয়েছে। পরেরবার অ্যাপস নিয়ে ট্রেনিং হবে। সূত্র মারফত পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, বৈঠকে পষ্ট বলা হয়েছে যেন কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ না যায়।
এসআইআরএ আধার বৈধ কি না সেই বিষয়ে মুখ খুলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মনোজ আগারওয়াল। তিনি বলেন, “কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে না। আধার নিয়ে আইনে যা আছে সেটাই হবে। যাঁদের শুধুমাত্র আধার কার্ড রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে অন্য কোনও ডকুমেন্ট লিংক থাকতে হবে। ২০০২ সালের এসআইআরে যাঁদের নাম ছিল, যাঁরা সরকারি আধিকারিক তাঁদের কোনও ডকুমেন্ট লাগবে না।”
এই দিনের বৈঠকের সময়ও স্থানীয় ব্রাহ্মণ সমিতির পক্ষ থেকে সভাগৃহের বাইরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাঁদের হাতে ‘এসএসআই আর বাতিল করতে হবে’, ‘এসআইআর মানছি না, মানব না’র, মতো প্ল্যাকার্ড দেখা গিয়েছে। পুরুষ ও মহিলারা এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সেই বিক্ষোভ ওঠে।
উল্লেখ্য, বিহারের এসআইআর নিয়ে তুমুল জলঘোলা হয়েছে। এই সংক্রান্ত মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। নির্বাচন কমিশনের ঠিক করে দেওয়া প্রামাণ্য নথি দিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। শেষ শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট আধার কার্ডকে প্রামাণ্য নথি হিসাবে নেওয়ার কথা বলেছে। এই আবহে বাংলায় কবে এসআইআর হবে তা ঘোষণা করা হলেও, প্রস্তুতি বৈঠক করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এদিকে একজনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ গেলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস।