এত টাকার লোভ! বিয়ের ৪ মাস পর স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন, বিছানার তলায় লুকিয়ে পালালেন স্বামী
আজকাল | ১০ অক্টোবর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাত্র চার মাস আগে বিয়ে। কয়েক সপ্তাহ পর থেকেই শুরু আরও পণের দাবি। পণের দাবি না মেটায় চরম পদক্ষেপ করলেন এক যুবক। নিজের সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করলেন। এরপর বাড়িতেই বিছানার তলায় স্ত্রীর নিথর দেহ লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যান। শেষমেশ ফাঁস হল তাঁর কীর্তি।
সর্ডবভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চার মাস আগেই দম্পতি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল। সম্প্রতি স্ত্রীকে খুন করেন যুবক। এরপর মৃতদেহটি নিজদের বাড়িতেই বিছানার তলায় লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যান।
খুনের দিন বাড়িতে ছিলেন না আকাশ কাম্বারের মা। আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পর বিছানার তলা থেকে ২০ বছর বয়সি সাক্ষী কাম্বারের দেহ দেখতে পান। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, তিনদিন আগে তরুণীকে খুন করেন আকাশ। পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ রয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত আকাশের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে খুন করেছেন তা এখনও জানা যায়নি। তবে সাক্ষীর পরিবারের দাবি, আরও পণের দাবিতে তরুণীকে খুন করেছেন আকাশ। বিয়ের পর থেকেই পণ নিয়ে ঝামেলা চলছিল। সেই বচসার জেরেই চরম পদক্ষেপ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত আগস্ট মাসে পণের দাবিতে আরও এক ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। পণের জন্য এবার সদ্য বিবাহিত তরুণীর গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। এবার ঘটনাস্থল বিহার। এবারেও পণ হিসেবে সোনার গয়নার দাবি করেছিল শ্বশুরবাড়ি। কিন্তু খানিকটা সময় চেয়েছিলেন তরুণীর বাবা। অধৈর্য হয়ে তরুণীকে খুন করার অভিযোগ উঠল তাদের বিরুদ্ধে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের খাগাড়িয়া জেলার বরখান্দি তোলা গ্রামে। জানা গেছে, তরুণীর সঙ্গে বিভীষণ যাদবের বিয়ে হয়েছে এক বছর আগে। তরুণীর বাবা জাদো যাদব জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পণের জন্য হেনস্থা করতেন তরুণীকে। আরও সোনার গয়নার দাবি করতেন তাঁরা। এদিকে তরুণীর বাবা আশ্বাস দেন, আর দুই মাস পরেই তিনি সব দাবি পূরণ করবেন।
কাঁদতে কাঁদতেই জাদো যাদব জানান, 'আমি শুধুমাত্র দুই মাস সময় চেয়েছিলাম!' আরেক আত্মীয় জানান, সোনার গয়না না পেলে তরুণীকে খুনের হুমকিও দিয়েছিল তারা। তাঁদের আরও অভিযোগ, আগে বিভীষণ চাষবাসের কাজ করতেন। কিন্তু গত মাস ধরেই বিহারেই গাঁজা ও বিষমদ বিক্রি করতেন। তরুণীর ভাইয়ের অভিযোগ, প্রথমে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। এরপর তাঁর দেহটি ঝুলিয়ে দেন। তরুণীর শরীরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তরুণীর বাবা জানিয়েছেন, 'আমার যা সার্মথ্য ছিল, সবকিছুই দিয়েছিলাম। তাও সোনার হার আর গাড়ির দাবি করছিল মেয়ের শ্বশুরবাড়ি। সদ্য ছেলের বিয়ে দিয়েছি। ছেলের বিয়ের সময় থেকেই সোনার হারের দাবিদাওয়া শুরু হয়। দুই মাস সময় চেয়েছিলাম। তার মধ্যেই মেয়েকে খুন করে দিল।' তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক। ঘটনাটি ঘিরে তদন্ত চলছে।