• ‘একজনের নাম বাদ গেলে ১ লক্ষ লোক নিয়ে কমিশন ঘেরাও’, SIR নিয়ে ফের হুঁশিয়ারি কুণালের
    প্রতিদিন | ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • ধীমান রায়, কাটোয়া: “এসআইআর নিয়ে এককাট্টা থাকুন। মাথার উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। তৃণমূল পরিবার সঙ্গে আছে। একজন আসল ভোটারের নাম যদি ভোটার তালিকা থেকে বাদ যায় তাহলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এক লক্ষ লোক নিয়ে গিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও করা হবে।”

    শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে এসে এই হুঁশিয়ারি দিলেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কেতুগ্রামের কাঁদরায় দলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “আগে বলেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভোট করাতে হবে। তাতে ওরা হেরেছে। এখন ভোটার তালিকায় কারচুপি করতে চাইছে। নির্বাচন কমিশনকে এসব কাজে লাগিয়েছে। অন্য রাজ্যের ভোটারদের নাম তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। যেভাবে মহারাষ্ট্র, দিল্লিতে জিতেছিল। এখানেও সেটা চাইছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা ধরে ফেলেছেন।”

    এদিন কাটোয়া মহকুমা এলাকার কেতুগ্রাম ১, কেতুগ্রাম ২ ব্লক এবং কাটোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন কুণাল ঘোষ। প্রথমে কেতুগ্রাম ১ ব্লকের বিজয়া সম্মিলনী হয় কাঁদরায়। ছিলেন বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ। মূল বক্তা ছিলেন কুণাল ঘোষ। বক্তব্যের আগাগোড়াই তিনি বিজেপিকে নিশানা করেন। উত্তরবঙ্গের বন্যাকবলিত এলাকায় বিজেপির সাংসদ, বিধায়ক নিগ্রহের ঘটনায নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “ওই ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। তবে নাগরাকাটার ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত নয়। ওটা সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ। উত্তরবঙ্গে মানুষের পাশে বিজেপির নেতারা দাঁড়াতে যাননি। গিয়েছিলেন ছবি তুলতে। তাই সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ১০০ দিনের কাজ করিয়ে বিজেপি দিনমজুরদের পাওনা টাকা আটকে রেখেছে। অথচ সেই টাকা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে বিক্ষোভ হবে না?”

    এদিন কড়া ভাষায় কুণাল ঘোষ বলেন, “এবার বিজেপির যেসব নেতারা দিল্লি থেকে এখানে জ্ঞান দিতে আসবেন, তাঁদের কাছে সাধারণ মানুষ জানতে চাইবেন, কেন ১০০ দিনের প্রকল্পের ১ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকা আটকে রাখা হয়েছে। এই প্রশ্ন তাদের কাছে সাধারণ মানুষ তুলতেই পারেন।”

    আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কুণাল ঘোষ আরও বলেন, “২০২৬ এ আড়াইশো আসন নিয়ে আবার তৃণমূল আসছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদে পরিবর্তন হবে না। পরিবর্তন হবে বিরোধী দলনেতার পদে। কারণ ওই পদে থাকার মতো যথাযথ বিধায়ক সংখ্যা বিজেপির থাকবে না।” কুণাল আরও বলেন, “এই বিজয়া সম্মিলনীর সভা আসলে বিজয় উৎসবের সভার ভিত্তিস্থাপন করছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১৬ টির মধ্যে ১৬টি আসনেই আমরা জিতব। আগামী নির্বাচনে একটা ঐতিহাসিক জয়ের দিকে এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার বাংলার সব রেকর্ড ভেঙে যাবে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)