• রাত সাড়ে ১২টায় পড়ুয়ারা কী করে বাইরে গেলেন? ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের ঘটনায় হস্টেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন মমতার
    এই সময় | ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে যা ঘটেছে তা নিন্দনীয়, তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে— উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগে প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একই সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষকে মমতার প্রশ্ন, এ রকম জঙ্গলের ধারে কলেজ। বেশি রাতে পড়ুয়ারা কী ভাবে কলেজের বাইরে গেলেন? মমতা বলেন, ‘স্টুডেন্টদের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজেরও একটা দায়িত্ব আছে। পুলিশ তো বাড়ি বাড়ি গিয়ে বসে থাকবে না। যা ঘটেছে নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। কিন্তু কেউ সাড়ে ১২টায় বেরোল। সেটাও যেতেই পারেন, তাঁর অধিকার। কিন্তু হস্টেলের তো একটা সিস্টেম আছে। আমি পুলিশকে বলেছি কঠোর ব্যবস্থা নিতে। কোনও অপরাধী যেন ছাড় না পায়।’

    শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের বেসরকারি এক মেডিক্যাল কলেজের এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তিনি এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া। এক সহপাঠীর সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়েছিলেন। কলেজটি একেবারেই ফাঁকা জায়গায়। রাস্তার দু’পাশে জঙ্গল। কয়েকজন সেই জঙ্গলেই ওই ছাত্রীকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

    ঘটনার তদন্তে নেমে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ডাক্তারি পড়ুয়ার ওই সহপাঠীও পুলিশের স্ক্যানারে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত সন্দেহজনক বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

    দুর্গাপুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেও মণিপুর, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ওডিশায় মেয়েদের উপরে অত্যাচার হলে, কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘যিনি নির্যাতনের শিকার হন, তাঁকে কোর্টে যাওয়ার আগে রাস্তায় জ্বালিয়ে মেরে দেওয়া হয়। সাংবাদিকদের নেকেড করে জেলে রাখা হয়। আমরা এই ধরনের কোনও ঘটনাকেই সমর্থন করি না। এ সব বাংলায় জ়িরো টলারেন্স।’ মমতার সংযোজন, ‘এখানে বিভিন্ন রাজ্যের ছেলেমেয়েরা পড়তে আসেন, অনুরোধ করব রাতে না বেরোতে। আর কর্তৃপক্ষকে ওদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)