উত্তরবঙ্গ পুনর্নির্মাণে কেন্দ্রের সাহায্য লাগবে না জানালেন মুখ্যমন্ত্রী, উদ্ধারকারীদের বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১২ অক্টোবর ২০২৫তিন দিন পর রবিবার ফের উত্তবঙ্গে গেলেন তিনি। আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক সভা করার কথা তাঁর। দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘কাজ কেমন চলছে, তা খতিয়ে দেখতে যাচ্ছি। পর্যলোচনা বৈঠক করব। উত্তরবঙ্গের বিপদে যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের পুরস্কার দেওয়া হবে। পুলিশ থেকে স্থানীয় মানুষ সবাই উদ্ধারকাজে সাহায্য করেছেন। সবাইকে পুরস্কৃত করা হবে।‘
রবিবার দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছোন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাকে একটা রিভিউ মিটিং করতে হবে। উত্তরবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, তাঁদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হবে। ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।’
উত্তরবঙ্গে এত বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে। এত ক্ষতি, প্রাণহানি। কেন্দ্র কি সাহায্য ঘোষণা করেছে? এই প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘আমরা কেন্দ্রের সাহায্যের আশায় বসে থাকি না। আমাদের যা সামর্থ্য, তা দিয়েই মানুষকে যতটা সম্ভব সাহায্য করছি। এখানকার বিপর্যয়ে মোকাবিলায় আগেই নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। প্রচুর রাস্তা, সেতু ভেঙে গিয়েছে। সেইসব সারানোর কাজ চলছে। যত দ্রুত সম্ভব সব ঠিক করে দেওয়া হবে। রোহিনীতে কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হতে ৫, ৬ দিন লাগবে। তবে মিরিকে ভেঙে পড়া ব্রিজ মেরামতিতে ৭,৮ দিন সময় লাগবে। পাঙ্খাবাড়ি দিয়ে দার্জিলিং যাওয়া যাচ্ছে।‘
রবিবার হাসিমারায় নেমে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি। আলিপুরদুয়ারে রাত্রিবাস করবেন। সোমবার নাগরাকাটা এবং মঙ্গলবার মিরিক যাবেন। দার্জিলিং, কালিম্পং জেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। বুধ, বৃহস্পতিও দার্জিলিংয়ের একাধিক স্থান পরিদর্শন করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। শুক্রবার কলকাতায় ফেরার কথা। কালীপুজোর উদ্বোধন করবেন। বিপর্যয় সরেজমিনে খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রী অভিভাবকের মতো উত্তরবঙ্গের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকে।
