• তুফানগঞ্জে ধুন্ধুমার, বিজেপি বিধায়ককে ঘিরে উঠল গো ব্যাক স্লোগান
    এই সময় | ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে তুমুল অশান্তি। বিজেপির কার্যালয় লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। বিধায়ককে লক্ষ্য করে উঠল, ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। পুলিশের সামনেই অশান্তির অভিযোগ উঠল সোমবার দুপুরে। তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, এলাকার বিধায়ক মানুষের জন্য কিছুই করেননি। এটা সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

    পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন তুফানগঞ্জ থানা ঘেরাও কর্মসূচি ছিল বিজেপির। আর সেখানেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়। লাথি, কিল, চড় মারা হয় তাঁকে। তৃণমূলের সমর্থকরা এই ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগ।

    সেখানেই ছিলেন তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক মালতি রাভা। তাঁকে ঘিরেও গো ব্যাক স্লোগান ওঠে। তুফানগঞ্জ শহরের বিজেপি কার্যালয়ের সামনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে বিজেপি নেতা নিখিল ডাকুয়া-সহ অন্যান্যদের রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তোলেন বিজেপির লোকজন।

    মালতি রাভার কথায়, ‘সারা বাংলাতেই আইনশৃঙ্খলা নেই। মানুষও সেটা দেখতে পাচ্ছেন। এখানে প্রশাসনও নীরব। বিরোধী দলকে কিছু করতে দেবে না ওরা। একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে, অথচ মেয়েরাই এখানে সুরক্ষিত নন। আজ আমাদের ঘোষিত কর্মসূচিকে নষ্ট করতে তৃণমূলের লোকজন এই অশান্তি করল।’

    পাল্টা তুফানগঞ্জ তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি গৌতম সরকার বলেন, ‘আমাদের তুফানগঞ্জ শান্ত জায়গা। আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। তবে ভোটের পরে আজ পর্যন্ত মানুষের পাশে বিজেপির একটা কেউ দাঁড়ায়নি। শহরে এক বস্তা সিমেন্ট পর্যন্ত ফেলা হয়নি। অশান্তি করতেই এখানে বিধায়ক আসেন। তাই সাধারণ মানুষ তাঁর উপরে রেগে রয়েছে। উনি আসেন, আমাদের কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে চলে যান। এটা তো আর দিনের পর দিন চলতে পারে না।’

  • Link to this news (এই সময়)