সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতি বছরের মতো এবারও ফের দূষণের থাবা দিল্লির উপরে। রাজধানীর বাতাসের গুণগত মান বা একিউআই মঙ্গলবার পৌঁছেছে ২১১-তে। অর্থাৎ দিওয়ালির আগেই ‘খারাপ’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে দূষণের মাত্রা। এহেন পরিস্থিতিতে দিল্লি ও এনসিআরে জারি করা হল GRAP-1 (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান-১)।
এদিন দেখা গিয়েছে শীত শুরুর আগেই রাজধানী ঢেকেছে কুয়াশায়। বর্ষাকালে দূষণের মাত্রা নিচের দিকেই থাকে। এবং প্রতি বছরই তার বিদায়ের পর থেকে পরিস্থিতি বদলায়। এবছরও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই বোঝা যাচ্ছে। দিল্লি ও এনসিআরে ‘খারাপ’-এর পাশাপাশি আনন্দ বিহারে তা ‘অতি খারাপ’ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।
দেখা যাচ্ছে, দিল্লির দূষণের অন্যতম বড় উৎস পরিবহণ। মোট দূষণের ১৭.৯ শতাংশের জন্যই দায়ী এটি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দিল্লির দূষণের মাত্রা ‘খারাপ’ পর্যায়েই থাকবে বলে দাবি আবহাওয়াবিদদের। এই পরিস্থিতিতে ‘দূষণ-দানব’ মোকাবিলায় তৈরি হচ্ছে দিল্লি।
উল্লেখ্য, ধোঁয়াশার জেরে দিল্লি-সহ গোটা উত্তর ভারতে গত শীতেও বারবার ব্যাহত হয়েছিল বিমান ও রেল পরিষেবা। বহু বিমানের সময়সূচিতে পরিবর্তন করতে হয়। প্রভাব পড়েছিল রেল পরিষেবাতে। এবারও পরিস্থিতি তেমনই হতে পারে এই আশঙ্কাকে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। গতবার দিল্লির বাতাসের গুণমান ‘ভয়ানক’ পর্যায় পৌঁছে গিয়েছিল। এরপরই ‘জিআরএপি-৩’ (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান-৩) লাগু করে প্রশাসন। এর ফলে অনলাইনে স্কুল, রাজধানীর সড়কে বিএস ৩-এর নিচে থাকা পেট্রল গাড়ি, বিএস ৪-এর নিচে থাকা ডিজেল গাড়ি এবং পণ্যবাহী মাঝারি আকারের যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ, নির্মাণকাজ কিংবা ভাঙার কাজ বন্ধ করে দিতে হয়।
এছাড়াও বলা দরকার, প্রতি বছর অক্টোবর মাসে রাজধানী দিল্লি-সহ গোটা উত্তর ভারত যে ভয়ংকর পরিবেশ দূষণের মুখোমুখি হয়, তার অন্যতম কারণ শস্যের গোড়া পোড়ানো।