কেশিয়াড়িতে শুভেন্দু-দিলীপ অনুগামীদের মধ্যে বিজয়া সম্মিলনী নিয়ে প্রকাশ্যে গোষ্ঠাদ্বন্দ্ব
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২০ অক্টোবর ২০২৫
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের অনুগামীদের মধ্যে বিজয়া সম্মিলনী ঘিরে দ্বন্দ্ব চরমে। রবিবার কেশিয়াড়িতে দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অনুগামীদের বিজয়া সম্মিলনী হয়। কেশিয়াড়ি হাই স্কুলের বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে কেশয়াড়ি থানার রজনীকান্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হয়েছে বিরোধী দলনেতার অনুগামীদের বিজয়া সম্মিলনী। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি সৌমেন তেওয়াড়ি থেকে শুরু করে প্রাক্তন সহ সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি-সহ প্রাক্তন সম্পাদক গৌরীশঙ্কর অধিকারী ও দাঁতনের বিজেপি নেতা মোসেফ মল্লিক।
বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান ঘিরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। শুভেন্দু অনুগামী প্রাক্তন জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌরীশঙ্কর অধিকারী দাবি, তাঁদের বিজয়া সম্মিলনী আগে হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। তারপরেই পাল্টা ৪ নম্বর মণ্ডল সভাপতি বিজয়া সম্মিলনীর কথা সামা্জিক মাধ্যমে জানায় বলে তাঁর দাবি। সেই সঙ্গে দিলীপ ঘোষের যাওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। গৌরীশঙ্কর অধিকারী দাবি করেছেন, তাঁদের বিজয়া সম্মিলনীতে বেশি লোক হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকদিন আগে থেকেই কেশিয়াড়িতে একটি বিজয়া সম্মিলনী করব বলে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। শুক্রবার থেকে কর্মীদের জানানোর পর্ব শুরু হয়। রবিবার বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান। আর শনিবার দুপুর থেকে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা শুরু হয়। তারপরই শনিবার সন্ধ্যা থেকে কেশিয়াড়ি ৪ নম্বর মণ্ডল সভাপতি পাল্টা সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা শুরু করেন। হাই স্কুলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে দিলীপ ঘোষ আসবেন বলা হয়। আমরা শুধুমাত্র কেশিয়াড়ি ব্লক নিয়ে কর্মসূচি করেছি। আর ওরা গোটা কেশিয়াড়ি বিধানসভা এলাকা থেকে লোক জড়ো করেছিল। তাতেও অবশ্য আমাদের লোক বেশি হয়েছিল।‘
অন্যদিকে, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানান, ‘পাড়ায় বিজয়া সম্মিলনী হতেই পারে। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে দলের কর্মীদের বাইরে সাধারণ মানুষও যাতে আসেন। এরকম করুক সবাই। তাতে পার্টি শক্তিশালী ও জিতলেই হল।‘ দিলীপ ঘোষের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে কেশিয়াড়ি বিধানসভার চারটি মণ্ডল কমিটির সভাপতিদের দেখা গেলেও মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সমিত মণ্ডলকে দেখা যায়নি। বিজেপির এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে নিশানা করেছে ঘাসফুল। তৃণমূলের কেশিয়াড়ি ব্লক সভাপতি অশোক রাউত বলেন, ‘এটা নতুন কিছু নয়। এটা কোনও বিজয়া সম্মিলনী নয়। নির্বাচন আসছে। তাই ভোট পাখির মতো সব যাতায়াত শুরু করেছে। এই নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।‘