• বাথরুমে স্নান করতে গিয়েই বিপত্তি! গিজারের গ্যাস লিক করায় দমবন্ধ, মর্মান্তিক পরিণতি দশম শ্রেণির ছাত্রীর...
    আজকাল | ২২ অক্টোবর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্নান করতে ঢুকে মর্মান্তিক পরিণতি দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর। গ্যাস গিজার থেকে দূষিত গ্যাস লিক করায় দমবন্ধ হয়ে যায় তার। বিকল হয়ে যায় মস্তিষ্ক। দিন কয়েক পরেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল কিশোরী। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি মহারাষ্ট্রে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরিভলি ওয়েস্টে স্নান করতে করতেই মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে ১৫ বছর বয়সি এক কিশোরীর। মৃতার নাম, হর্ষিতা অমিত মালেকর। বাথরুমে স্নান করার সময়েই গ্যাস গিজার থেকে দূষিত গ্যাস লিক করে। তখনই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর। 

    ফিনিক্স হসপিটালের চিকিৎসক জানিয়েছেন, কিশোরীর শরীরে উচ্চ মাত্রায় কার্বন ডাই অক্সাইডের উপস্থিতি ছিল। মস্তিষ্ক বিকল হয়েই মৃত্যু হয়েছে তার। পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ঘটনায় দুর্ঘটনার মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৪ অক্টোবর।‌ মৃত কিশোরী চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে, গত ১৮ অক্টোবর হার মানেন। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়েছে। 

    পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সেদিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ স্নান করতে গিয়েছিল সে। কিছুক্ষণ পরেই জলে ভেসে যায় গোটা ফ্ল্যাট। বাথরুমের দরজা ধাক্কা দিলেও হর্ষিতার কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এরপর এক মিস্ত্রি ডেকে বাথরুমের দরজা খোলা হয়। তখনই অচৈতন্য অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। 

    প্রসঙ্গত, গ্যাস গিজার জল গরম করার জন্য তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ব্যবহার করে। এই গিজারগুলি খুব দ্রুত জলকে গরম করে দিতে পারে। তবে বৈদ্যুতিক গিজারের তুলনায় এগুলি কম শক্তিশালী। এই গিজার থেকে গ্যাস লিক করে অতীতেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

    প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে এমন মর্মান্তিক ঘটনা আরও একটি ঘটেছিল। চুটিয়ে মজা করেছিলেন হোলিতে। আত্মীয়, প্রতিবেশীদের সঙ্গে রং খেলেছিলেন তাঁরা। দুপুরে স্নানঘরে একসঙ্গে ঢোকে দম্পতি। কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও আর বেরোননি। তাতেই সন্দেহ হয় আত্মীয়দের। ডাকাডাকির পর শেষমেশ স্নানঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। স্নানঘরের ভিতরে দৃশ্য দেখেই শিউরে ওঠেন। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হাপুরে। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ছোট বাজার এলাকায়। হোলিতে পরিবার পরিজনদের সঙ্গে রং খেলায় মেতে উঠেছিল এক দম্পতি। রং তুলতে একসঙ্গে স্নান করতে ঢুকে আর বাইরে বেরোননি। আত্মীয়রা স্নানঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকেই দেখতে পান দম্পতির নিথর দেহ। 

    মৃতেরা হলেন, নবীন গুপ্ত (৪৪) এবং সাক্ষী গুপ্ত (৪০)। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। সঙ্গে এও জানান, বিষাক্ত গ্যাসের জেরে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে দম্পতির। 

    পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, বাথরুমে গিজারের গ্যাস লিক করেছিল। একসঙ্গে স্নান করতে যাওয়ার পর সেই বিষাক্ত গ্যাসের জেরে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর আত্মীয়রা ডাকাডাকি শুরু করেন। সাড়াশব্দ না পাওয়ায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন। তখনই দম্পতিকে স্নানঘরের মধ্যে লুটিয়ে থাকতে দেখেন। 
  • Link to this news (আজকাল)