• বন্ধুত্ব কাউকে ধর্ষণ, নির্যাতনের লাইসেন্স দেয় না, মন্তব্য হাই কোর্টের
    প্রতিদিন | ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্ধুত্ব কখনওই কাউকে ধর্ষণ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখার এবং নির্যাতন করার লাইসেন্স দেয় না। নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তের জামিন নাকচ করে এমনই মন্তব্য করেছেন দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মা।

    সম্প্রতি দিল্লি হাই কোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন জানায় এক অভিযুক্ত। তার বিরুদ্ধে ১৭ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই আবেদনের শুনানি শুরু হয় বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মার এজলাসে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করেন তিনি। বিচারপতি বলেন, “এর আগের প্রায় চারবার একইভাবে জামিনের আবেদন জানিয়েছিল অভিযুক্ত। প্রত্যেকবারই তা খারিজ হয়েছে। কিন্তু তার পরও তিনি কোনওভাবে তদন্তে সহযোগিতা করছেন না।” শুধু তাই নয়, প্রতিবারই নিজের জামিন আর্জিতে নির্যাতিতাকে ‘বন্ধু’ বলেও দাবি করেছে অভিযুক্ত। গোটা ব্যাপারটাই ‘সম্মতিতে’ হয়েছে বলে দাবি তার। অবশ্য, অভিযুক্তের এই সকল যুক্তি মানতে নারাজ আদালত।

    বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মার পর্যবেক্ষণ, ‘অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা উভয়েই পরিচিত, সর্বোপরি তাঁরা বন্ধু। এমনটা হতেই পারে যে গোটা ঘটনাটি সম্মতির সঙ্গেই ঘটেছে। কিন্তু তার পরেও তা মেনে নেওয়া যায় না।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমি যদি ধরেও নিই তাঁরা বন্ধু। কিন্তু বন্ধুত্ব কখনওই কাউকে ধর্ষণ, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে রাখার এবং নির্যাতন করার লাইসেন্স দেয় না।’

    পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই নির্যাতিতার প্রতিবেশী। ঘটনার দিন সে ওই নাবালিকাকে তাঁর এক বন্ধুর বাড়ি নিয়ে যায়। তার পরেই সেখানে চলে নারকীয় অত্যাচার। নাবালিকাকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে সে। চলে মারধরও। এই ঘটনার প্রায় ১১দিন পর তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করে নাবালিকার পরিবার। কিন্তু কেন এতটা দেরি হল? হুমকি, না কি অন্য কোনও তত্ত্ব। অবশ্য অভিযুক্তর দাবি, সবটাই সম্মতিতে হয়েছিল। অন্যদিকে, নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, নিরাপত্তাহীনতা ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ার কথা। যা মেনে নিয়েছে আদালতও। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘এই দেরি হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। এমন একটা ঘটনা যে কাউকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে।’
  • Link to this news (প্রতিদিন)