কুর্নুলের দুর্ঘটনাগ্রস্থ বাসের আগুন তীব্র হয়েছিল মজুদ থাকা ২৩৪টি স্মার্টফোনে, তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রতিদিন | ২৫ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিওয়ালির পরই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা অন্ধ্রে। লাক্সারি বাসে আগুন লেগে মৃত্যু অন্তত ২৫ জনের। আহত বহু। অনেকেই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনার তদন্তে এবার উঠে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আগুনের তীব্রতার কারণ খুঁজতে গিয়ে উঠে আসছে বাসে মজুদ থাকা বিপুল পরিমাণ মোবাইলের ব্যাটারির কথা।
অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্নুলে বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শুরু হয়েছে তদন্ত। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে দুর্ঘটনার সময় যে বাসটিতে ২৩৪টি স্মার্টফোন ছিল। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ফোনগুলির ব্যাটারি ফেটে যাওয়ায় আগুনের তীব্রতা অনেকগুন বেড়ে যায়।
প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ওই বাসে এতগুলি ফোন কিভাবে এল। জানা গিয়েছে, মাঙ্গানাথ নামের হায়দ্রাবাদের এক ব্যবসায়ী ওই বাসে ৪৬ লক্ষ টাকা মূল্যের ২৪৩টি ফোন পাঠাচ্ছিলেন বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থায়। বেঙ্গালুরুর ওই ইকমার্স সংস্থা থেকে ওই ফোনগুলি ক্রেতাদের হাতে পৌঁছানর কথা ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফোনগুলিতে আগুন লাগতেই ব্যাটারিগুলি ফাটতে শুরু করে। অন্ধ্রপ্রদেশের দমকল বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল জানিয়েছেন, ফোনের ব্যাটারিগুলির পাশাপাশি বাসের এসি চালানোর জন্য যে ব্যাটারি ব্যবহার হয় সেটিও ফেটে যায়। দমকলের ধারণা বাসের সামনের অংশে জ্বালানী লিক হওয়ায় সেখান থেকেই আগুন লেগে যায় বাসে।
এই ঘটনায় বাসের চালকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, আগুন লাগার পরে যাত্রীদের বাচানোর চেষ্টা না করে নিজে পালিয়ে যান চালক। জানা গিয়েছে, চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে হায়দরাবাদ থেকে একটি যাত্রীবোঝাই লাক্সারি বাস বেঙ্গালুরুর দিকে রওনা দিয়েছিল। ভোররাতে কুর্নুল জেলার চিন্নেতকুর গ্রামের কাছে বেঙ্গালুরু-হায়দরাবাদ হাইওয়েতে একটি মোটরবাইকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাসটির। তাতে বাসটিতেই আগুন ধরে যায়। নিমেষে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে গোটা বাস। বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে বাসটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বেশিরভাগ যাত্রী দরজা ভেঙে বেরিয়ে আসারও সময় পাননি। ফলে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় একের পর এক অসহায় যাত্রীর।