• আরজি করের আসামী সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নীর রহস্যমৃত্যুতে নাটকীয় মোড়! বাবা, সৎ মা-ই...বড় আপডেট!
    ২৪ ঘন্টা | ০১ নভেম্বর ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় নাটকীয় মোড়! ১১ বছরের নাবালিকাকে খুনের দায়ে এবার অভিযুক্ত সৎ-মা ও বাবা, পূজা সিং ও ভোলা সিং। যাঁরা সম্পর্কে আরজি করের আসামী সঞ্জয় রায়ের ছোটো দিদি ও জামাইবাবু। ছেলে-বৌমার বিরুদ্ধে  নাতনিকে খুনের দায়ে থানায় অভিযোগ করেছেন মৃত নাবালিকার ঠাকুমা প্রতিমা সিং। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, 'ওরা নাতনিকে মেরেছে।' নিজের ছেলে-বউমার বিরুদ্ধে আলিপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। এই ঘটনায় রুজু হয়েছে মামলা।

    চলতি মাসের গোড়ার দিকে আলমারির ভিতরে উদ্ধার হয় নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ। স্কার্ফ পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহ। ভবানীপুরের বিদ্যাসাগর কলোনির সেই ঘটনায় ঘটনায় কেঁচো খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে কেউটে! জানা যায়, ২ বোনের এক স্বামী! ৪ বছর আগে ওই নাবালিকার মা ববিতারও রহস্যমৃত্যু হয়েছিল। তারপরই বোন পূজাকে বিয়ে জামাইবাবুর! অতীতে মাকেও ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল! আর এবার আলমারির ভিতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ১১ বছরের মেয়েকে। এই ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা এলাকা। অভিযোগের আঙুল ওঠে সৎ মা ও বাবার দিকে। ঠাকুমা প্রতিমা সিং অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে ভোলা সিংয়ের দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই বদলে যায় ছবিটা। নাতনিকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দিতেন না। নাতনি তাঁর কাছে আসতে চাইত। কিন্তু কিছুতেই কাছে আসতে দিত না। তাঁর কথায়, ‘ওরা আলাদা থাকত, আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দিত না। মেয়েটা আসতে চাইত, কিন্তু সব সময় দূরে দূরে রাখত।' নাতনিকে বেল্ট দিয়ে পেটানো হত বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এবার সরাসরি থানায় অভিযোগ করলেন তিনি।

    সৎ মা ও বাবার বিরুদ্ধে নাবালিকার উপর অত্যাচারের অভিযোগ করেন স্থানীয়রাও। ওই নাবালিকার গৃহশিক্ষিকা বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। বলেন, শারীরিক ও মানসিক সবরকম অত্যাচারই চলত। তাঁর কথায়, 'শারীরিক অত্যাচারটা হত পড়াশোনা নিয়ে, আর মানসিক অত্যাচার হত সব কিছু নিয়ে। দিনের পর দিন মারধর করা হত। খেলতে যেতে  দিত না। রাতভর জাগিয়ে রেখে রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা অবধি পড়াচ্ছে ওইটুকু মেয়েকে। পড়া না পারলে, দেওয়ালে মাথা ঠুকে দিচ্ছে! পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ হলেও চলত মারধর, অত্যাচার।"

    ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে যদিও আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিলেছে। কিন্তু নতুন করে খুনের অভিযোগ দায়ের হওয়ায় ফের তদন্ত শুরু করেছে আলিপুর থানার পুলিস। ঘটনার পুনর্গঠন ও নতুন প্রমাণ সংগ্রহের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)