দিল্লি বিস্ফোরণের নেপথ্যে জইশ! হামলার আগে সুনহেরি মসজিদে ৩ ঘণ্টা দাঁড়ায় ঘাতক গাড়ি
প্রতিদিন | ১১ নভেম্বর ২০২৫
নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: দিল্লির লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে এই হামলা জঙ্গি হামলা কিনা সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু না জানানো হলেও তদন্তের গতিপথ সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। সূত্রের খবর, সোমবার সন্ধ্যায় ওই মারণ হামলার নেপথ্যে রয়েছে মাসুদ আজাহারের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরণের আগে ঘাতক গাড়িটি প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে ছিল দিল্লির সুনহেরি মসজিদের সামনে।
দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সোমবার সন্ধ্যায় বিস্ফোরণের আগে বিকেল ৪টের দিকে ঘাতক গাড়িটি প্রবেশ করে সুনহেরি মসজিদের পার্কিং লটে। সেখানে প্রায় ৩ ঘণ্টা ছিল গাড়িটি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন পার্কিং লট থেকের বেরনোর সময় গাড়িতে একজনই ছিল। সেই মেট্রো স্টেশনের সামনে অরযন্ত গাড়িটি চালিয়ে এনে বিস্ফোরণ ঘটায়। এক শীর্ষ তদন্তকারী আধিকারিক জানান, “গাড়িটি ছাত্তা রেল চকের দিকে যাচ্ছিল, তারপর লোয়ার সুভাষ মার্গে সেটি ইউ-টার্ন নেয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে গাড়িটি একটি সিগন্যালের কাছে এসে বিস্ফোরণের ঠিক আগে গতি কমায়।”
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আধিকারিক বলেন, সম্ভবত গাড়ির পেছনের অংশ থেকে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। এনএসজি এবং এফএসএল টিমের তদন্ত রিপোর্টে স্পষ্ট হবে এটি ঠিক কী ধরনের বিস্ফোরণ ছিল। তবে বিস্ফোরণস্থল ও যেভাবে দেহগুলি পুড়ে গিয়েছে তাতে অনুমান আইইডি বা ওই ধরনের কোনও বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। হামলার ধরন দেখে তদন্তকারীরা অনুমান করছেন এর নেপথ্যে জইশ-ই-মহম্মদের হাত রয়েছে। এভাবে গাড়ি বোমা ব্যবহার করে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ জইশের পরিচিত হামলার ছক।
এদিকে ঘাতক গাড়ির সূত্র ধরে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ জনকে। তদন্তে জানা যাচ্ছে, যে হুন্ডাই I-20 গাড়ি বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হয় সেটি ২০১৩ সালের মডেল। গুরুগ্রামের বাসিন্দা সলমনের নামে নিবন্ধিত ছিল। প্রায় দেড় বছর আগে গাড়িটি তিনি দিল্লির ওখলার বাসিন্দা দেবেন্দ্রকে বিক্রি করেন। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সলমন ও দেবেন্দ্র দু’জনকেই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। পরে গাড়িটি অন্য কাউকে বিক্রি করা হয়েছিল কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।