• ভারতকে রক্তাক্ত করাই ছিল লক্ষ্য! গ্রেপ্তার জইশের মহিলা ব্রিগেডের দায়িত্বে থাকা মহিলা চিকিৎসক
    প্রতিদিন | ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাহিন শাহিদ। ফরিদাবাদে ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় লখনউয়ের এই মহিলা চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা ব্রিগেড তৈরির দায়িত্বে ছিল সে-ই! এমনই দাবি পুলিশ সূত্রের।

    পহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে অপারেশন সিঁদুরে জইশের কোমর ভেঙে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই অভিযানে মৃত্যু হয় মাসুদ আজাহারের পরিবারের ১১ সদস্যের। এর ঠিক পরই ভারতের বিরুদ্ধে বদলা নিতে মাসুদ আজাহারের বোন সাদিয়ার নেতৃত্বে নয়া মহিলা ব্রিগেড তৈরির ঘোষণা করে জইশ। ভাওয়ালপুরের মার্কাজ-উসমান-ও-আলি থেকেই এই সংগঠন তৈরি করা শুরু করে জইশ। নতুন এই মহিলা ব্রিগেডের নাম জামাত-উল-মোমিনাত।

    সূত্রানুসারে, শাহিন শাহিদকেই দেওয়া হয়েছিল সেই শাখার দায়িত্ব। যদিও মাথায় থাকবে সাদিয়া। প্রসঙ্গত, সাদিয়ার স্বামী ইউসুফ আজদার ছিল কান্দাহার বিমান অপহরণের ‘মাস্টারমাইন্ড’। অপারেশন সিঁদুরে সে খতম হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, আপাতত জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে এই মহিলা ব্রিগেড নিজেদের জাল ছড়াতে শুরু করেছে। তবে সে জাল বেশিদূর অগ্রসর হওয়ার আগেই মাসুদের ‘জেনানা জেহাদি’দের সন্ত্রাসকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে কোমর বাঁধছে তদন্তকারীরা।

    এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, লখনউয়ের লালবাগের বাসিন্দা ছিল শাহিন। তার গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল। সে চিকিৎসক আল-ফালা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করত। এদিকে ফরিদাবাদ থেকে যে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে মুজাম্মিল গনি ওরফে মুসাইব নামে সন্দেহভাজন এক জঙ্গিকে। তার ভাড়াবাড়ির দু’টি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক। উল্লেখ্য, সোমবার লালকেল্লার কাছে হওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এটি সন্ত্রাসবিরোধী আইন। দিল্লির কোতোয়ালি থানা UAPA-এর ১৬, ১৮ ধারা, বিস্ফোরক আইন এবং বিএনএসের একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)