• বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রীর পরকীয়া, প্রেমের সম্পর্কে বাধা না হয়ে ‘প্রেমিকে’র সঙ্গেই বিয়ে দিলেন স্বামী
    প্রতিদিন | ১২ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেশার তাগিদে বেশিরভাগ সময়ই থাকতেন বাড়ির বাইরে। বন্ধুর মারফত স্ত্রীর কাছে টাকা পৌঁছে দিতেন। সেই বন্ধুর সঙ্গেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী। এদিকে স্ত্রী আবার স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। আটমাস ধরে থাকছিলেন বাপের বাড়ি। মঙ্গলবার স্ত্রী ও বন্ধুকে একসঙ্গে ঘুরতে দেখেন যুবক। দেরি না করে তাঁদের নিয়ে যান স্থানীয় মন্দিরে। প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে দিলেন স্বামী। তবে বছর সাতের ছেলেকে নিজের কাছেই রেখেছেন যুবক।

    ঘটনাটি ঘটেছে সাঁইথিয়ায়। ৯ বছর আগে বাপি মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয়ে তারাপীঠের সঞ্চারীর। বাপির বন্ধু জিৎ। তাঁরা দু’জনেই পেশায় লরি চালক। পেশার তাগিদে বাইরে যেতে হত বাপিকে। বন্ধুর আবদারে সংসার খরচের টাকা পৌঁছে দিতেন সঞ্চারীর কাছে যেতেন জিৎ। এই সময়কালে সঞ্চারী ও জিৎ প্রেমে পড়েন। বাধা দেওয়ারও কেউ ছিল না। ক্রমেই বাড়ে ঘনিষ্ঠতা। বাপির কথায়, “অনেকদিন ধরেই অনুমান করেছিলাম। কিন্তু কিছু বলতে পারছিলাম না। লোকলজ্জা, ছেলের ভবিষ্যৎ সব মিলিয়ে চুপ ছিলাম।”

    এদিকে আবার সঞ্চারী বাপির বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ করেছেন। সেই মামলা আদালতে বিচারাধীন। স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে যান বাপের বাড়িতে। সেখানেই থাকছিলেন। এদিকে তাঁর বাড়িতে যান প্রেমিক জিৎ। সোমবার বাপি শ্বশুরবাড়ি যান। কিন্তু তাঁর শাশুড়ি জানিয়ে দেন মেয়ে স্বাধীন। ও যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে।

    শ্বশুরবাড়ির মতামত বুঝতে পেরে ফিরে আসেন বাপি। নজরদারি শুরু করেন জিতের উপর। মঙ্গলবার সকালে সাঁইথিয়ার বাইপাসে সঞ্চারী-জিতকে একই বাইকে দেখেন। তাঁদের নিয়ে আসেন নন্দিকেশ্বরী তলায়। সেখানে সঞ্চারী জানিয়ে দেন, “এখান থেকেই নতুন ঠিকানায় জিতের সঙ্গে ওঁর বাড়ি যাব।” এরপর বাপিই উদ্যোগ নিয়ে নন্দিকেশ্বরীতলায় দু’জনের বিয়ের আয়োজন করেন।

    তবে হাতেনাতে ধরা পড়ে বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে জিৎ। তিনি অবিবাহিত। জিৎ বলেন, ‘‘আট ন’মাস ধরে আমাদের প্রেম গাঢ় হয়েছিল। বিয়েও করব বলে ঠিক করেছিলাম। বন্ধুকে বলতে পারছিলাম না। যা হল ভালই হল।” বাপি বলেন, “আদলতে আমার উপর বধূ নির্যাতনের মামলা চলছে। আইনি ছাড়পত্র দিতে পারলাম না। তবে পুলিশকে সাক্ষী রেখে ওঁকে জিতের হাতে তুলে দিলাম। আশা করি এবার ও মামলা তুলে নেবে। “
  • Link to this news (প্রতিদিন)