‘চাকরির নামে কার থেকে টাকা নিয়েছি?’ বেহালাবাসীকে খোলা চিঠি পার্থর
প্রতিদিন | ১২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা বারবার দাবি করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই মূলচক্রী। ফলে পাঁচবারের বিধায়কের সামাজিক সম্মান যে খানিকটা হলেও বিপন্ন হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে অনেকের মনেই আবার প্রশ্ন, ঠিক কী ঘটেছিল। সত্যিই তাঁদের ‘প্রিয় পার্থদা’ এই দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড, নাকি নেপথ্যে অন্য রহস্য? জেলমুক্তির পর বুধবার বাড়িতে বসে পার্থ জানালেন, তিনি প্রয়োজনে বেহালা পশ্চিমের বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি যাবেন। জানাবেন, সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন তিনি। জানাবেন তিনি নির্দোষ। খোলা চিঠি লিখলেন এলাকার বাসিন্দাদের।
তৃণমূলের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক দলের জন্মলগ্ন থেকে। বেহালা পশ্চিমের পাঁচবারের বিধায়ক তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তারির পর পার্থকে দলের সব পদ থেকে সরিয়েছে তৃণমূল। তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিনবছর পর জেল থেকে ফিরেই পার্থ বুঝিয়ে দিলেন রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবেন না তিনি। তাঁর যুক্তি তিনি বেহালা পশ্চিমের বাসিন্দাদের কাছে দায়বদ্ধ। তাঁরা ৫ বার তাঁকে জিতিয়েছেন।
বুধবার সকালে পার্থ বলেন, “বেহালা পশ্চিমের মানুষ বরাবর আমাকে ভরসা করেছেন। ওদের মনে এখন হাজারও প্রশ্ন। সে প্রশ্নের উত্তর আমাকে দিতে হবে। প্রয়োজনে অটো নিয়ে বেহালাবাসীদের বাড়িতে পৌঁছব। প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে প্রশ্নের উত্তর দেব। জানানো আমি সৎ পথে ছিলাম।” নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাদের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখলেন তিনি। সেই চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, চাকরি দেওয়ার বদলে কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। তাঁর নাম করে কেউ টাকা তুলেছেন কি না, সেকথাও জানতে চান পার্থ।
অর্থাৎ তিনি যে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরতে মরিয়া, তা স্পষ্ট। তবে কি বিধানসভা নির্বাচনে ফের প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে? তা খোলসা করেননি পার্থ।